এটি কি আত্মস্মৃতি? এটি কি সার্জেন্ট জহুরুল হকের কাহিনি নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য? নাকি এটি সামাজিক ইতিহাসের দলিল? এক কথায় উত্তর- সবকিছু। ১৯৬৯-৭১-এ মিমি শিশু, কিশোরীও নয়। তাঁর বাবা স্টেট ব্যাংকের কর্মকর্তা, থাকেন বনানীতে। তাঁর পরের ভাই এ্যাডভোকেট আমিনুল হক, যিনি একসময় ছিলেন আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর ছোট ভাই জহুরুল হক যিনি পাকিস্তানি এয়ার ফোর্সে চাকরি করেন। সবাই আলাদা আলাদা থাকলেও যেন একটি যৌথ সংসার। মিমি তাঁর চাচা আমিনুল ও জহুরুলের প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্রী। দুই চাচার প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। শিশুর স্মৃতিতে যা ছিল তা বিধৃত করেছেন। এলিফ্যান্ট রোডে একটি দোতলা বাড়ির দেয়ালে লেখা 'চিত্রা' শব্দটি চোখে পড়ত। তখন জানতাম না এটি আমিনুল হকের বাড়ি। মিমি সে বাড়িতে আসেন । তার চাচা-চাচি, দাদী-তাঁদের স্মৃতি তিনি বর্ণনা করছেন। '৬৯ কেমন?-বড়রা যা বলছেন তা তাঁর স্মৃতিতে কিছু আছে। কিছু নেই। মিমি বড় হচ্ছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়েন তখন তিনি জানেন '৬৯-এর এক নায়ক তাঁর চাচা সার্জেন্ট জহুরুল হক। তিনি আগরতলা মামলার বেঁচে থাকা 'আসামি'দের খোঁজ নেন। তাঁদের সাক্ষাৎকার নেন। তখনও বেঁচে থাকা বাবা ও চাচা আমিনুলের কাছে জানতে চান। শিশুকালের স্মৃতি তখন উজ্জ্বল হয়, সম্প্রসারিত হয় স্মৃতি। শহিদ জহুরুলের ক্যান্টনমেন্টে বন্দি অবস্থা, তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাইদের কথোপকথন, ডাক্তারের ভূমিকা- এঁদের জবানীতে তুলে ধরেছেন সে সময়কার চালচিত্র। খুঁটিনাটিসহ নানা বিবরণ যা একেবারে নতুন তথ্য।