জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট-এর উদ্দেশ্য-আইনে সর্বদাই ব্যবহৃত শব্দগুলো যাতে একই অর্থে সব সময় প্রয়োগ করা যায় এবং উহাতে যাতে কোন ভিন্নতা বা বৈপরীত্ব পরিলক্ষিত না হয় সেই উদ্দেশ্যেই এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়। আইনে সব সময় ব্যবহৃত হয় এমন কতিপয় শব্দের সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, ঐ শব্দসমূহ সংক্ষিপ্তকরণ এবং আইনের ভাষা সংক্ষিপ্ত অথচ সহজবোধ্যকরণের লক্ষ্যে জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়। জেনারেল ক্লজেস এ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা-আইনের পরিমণ্ডলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে বিচারক আইনজীবী, আইনের ছাত্র, শিক্ষক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আইন প্রণেতাদের কাছে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। পৃথিবীর অনেক দেশে উহা Interpretation Act' নামে অভিহিত। এর সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা এবং বিভিন্ন ধারায় ব্যবহৃত অভিব্যক্তিসমূহ অন্যান্য সকল আইনে প্রযোজ্য হয়ে থাকে। উচ্চ আদালতসহ বিদ্যমান অন্যান্য আদালতের বিচারিক কাজে এবং বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে এ আইনের নির্দেশাবলী অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। আইনের খসড়া প্রণেতাগণ নতুন আইনের খসড়া প্রণয়ন করার সময় এই আইনের ব্যাখ্যা এবং অভিব্যক্তিসমূহ অতি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকেন।
আমিনুল ইসলাম ১৯৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার টিকলীচর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা : বেলায়েত আলী মন্ডল, মাতা : সাজেনুর নেসা। বিবাহিত। জীবনসঙ্গিনী : রােকশানা পারভীন লীনা। মেয়ে : ডালিয়া নওশিন লুবনা; ছেলে- রাগিব ইশরাক সজল। চাকরিজীবনে তিনি ভারত, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ইটালি, মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিজি, স্পেন, পর্তুগাল। প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। কবি-প্রাবন্ধিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ নব্বই দশকে। লেখার বিষয় : কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া এবং সংগীত বিষয়ে গবেষণাধর্মী নিবন্ধ। বলা চলে তিনি নিভৃতচারী মানুষ। কবিতা রচনায় দশকের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে শব্দ ও ভাষার ব্যবহারে তিনি কবিতার নিজস্ব একটি ধরন নির্মাণে সক্ষম হয়েছেন বলে তার কবিতার আলােচকগণ প্রায় সকলেই বলেছেন। দুর্বোধ্য নয় অথচ গভীর ব্যঞ্জনাময়-এটি হচ্ছে তার কবিতার সবচেয়ে বড় দিক। মননশীল প্রবন্ধের জন্যও তিনি সমানভাবে স্বীকৃত। তাকে এসময়ের একজন মৌলিক ও শক্তিমান কবি হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি নজরুলসঙ্গীত নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক কাজ করে চলেছেন।