“গাঁথাগল্প ” বইটি সর্ম্পকে কিছু কথাঃ প্রবীণ নবীন মিলিয়ে মোট চৌদ্দজন কথাসাহিত্যিকের চৌদ্দটি নির্বাচিত সঙ্কলন ‘গাঁথাগল্প’ বইটি হাতে নিয়ে দু’চার পাতা ওলটালেই এর অভিনবত্ব চোখে পড়ে। এই অভিনবত্ব গল্পকারদের ভাষামাধ্যমের। দশটি মৌলিক গল্পের পাশাপাশি চারটি অনুবাদ গল্পও এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এই গল্পগুলো এদেশেরই কয়েকজন সম্ভাবনাময়ী নারী লেখকদের লেখা, যাঁরা লিখছেন ইংরেজিতে। বাংলাদেশের নারী লেখকদের মৌলিক ও অনুবাদ গল্পের সমন্বিত সঙ্কলন হিসেবেই বইটির অভিনবত্ব। এ দেশে যারা ইংরেজি ভাষায় লেখালেখির চর্চা করছেন, তাদের সাথে বাংলা ভাষার লেখকদের একটা যোগাযোগহীনতা রয়েই গিয়েছে। ‘গাঁথা সংগঠনটি বাংলাদেশের এই দুই ভাষার নারী লেখকদের মধ্যে একটা মেলবন্ধন সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই প্রয়াসেরই স্বাক্ষর এ বই। এ বইয়ে যাঁদের গল্প সন্নিবেশিত হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই স্বনামে উজ্জ্বল। একই সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে নারী হয়েও তাঁদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি, জীবনবোধ ও জীবনানুভূতির স্বাতন্ত্র্য রয়েছে যা বইয়ের প্রতি লেখকের লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে। তাই বয়োজ্যেষ্ঠ কথাশিল্পী জাহানারা নওশিনের ‘পিতামহীর পাখি’ থেকে শুরু করে সর্বকনিষ্ঠ শবনম নাদিয়ার ‘সুর-বেসুর’ গল্পে রয়েছে ভিন্ন কাহিনী, ভিন্ন আঙ্গিক আর ভিন্ন স্বাদ। সবমিলিয়ে ‘গাঁথাগল্প’ সঙ্কলনটি বিশেষত্বের দাবিদার।