ফ্ল্যাপে লিখা কথা এ কাহিনী তিন বন্ধু হাবিব, মিলন আর সিরাজ এবং হাবীবের বোন সেলিনাকে নিয়ে। একটা সময় তাদের বন্ধুত্ব এতই গভীর ছিল, তখন সেলিনা কার ছোট বোন সেটাই বোঝা যেত না। কিন্তু সেলিনাকে নিয়েই তিন বন্ধুর এই গভীর বন্ধুত্বের ফাটল ধরে। জন্ম নেয় অবিশ্বাস, শুরু হয় দ্বন্দ-সংঘাত। উপন্যাসের অন্যদিকে রয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া শিহাব আর ভুয়েট থেকে পাশ করে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী রেমির প্রবল ভালোবাসার স্বপ্নিল জগৎ। সে জগতে স্বপ্ন আছে, কল্পনা আছে, কিন্তু সেখানে বাস্তবতার বড়ই অভাব। রয়েছে নাফিসের কাছে সর্বস্ব হারিয়ে প্রতারিত শামা, একদিকে সমাজ আরেকদিকে অবৈধ সন্তান দুইয়ের মাঝখানে যে কোনো একটা বাছাই করতে হবে।
এই উপন্যাসের বাঁকে বাঁকে তুলে ধরা প্রতিটি ঘটনা আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। হাবিব, সেলিনা, মিলন কিংবা সিরাজ দূরের কেউ নয়। এরা আমাদের সমাজেরই একেকটি চরিত্র। টিএসসির চত্বরে অথবা পলাশীর মোড়ে শত শত রেমি, শত শত শিহাব সদা সর্বদা বিরাজমান। উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠক নিজের ভেতরে হারিয়ে যাবে। এক সশয় একে আর উপন্যাস মনে হবে না, মনে হবে তার জীবনের এক বাস্তব চিত্রায়ন।
এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছে বারোজন খ্যাতনামা ব্লগারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। ব্লগ, ফেসবুক এবং অনলাইন মিডিয়ায় উপন্যাসের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয় এবং পাঠকমহল থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যায়। এই পাঠক শ্রেণীর উৎসাহেই উপন্যাসটি বই হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।