পালঙ্কে শুয়ে পড়েছেন দুজন। তবে তাকিয়া হিসেবে রয়েছে একটি মাত্র। রাজা রানির জন্য যে সম্পূর্ণ পালঙ্কে একটাই তাকিয়া বরাদ্দ বিষয়টা এমন নয়। কিছুক্ষণ পূর্বেও দুটোই ছিল। কিন্তু রানি ডায়ানা পালঙ্কে উঠে বসার পরে আর দুটোর থাকার স্থায়ী হয়নি। ব্যাপারটা নিয়ে মোটেও বিচলিত নন রাজা রন। তিনি পুরোনো দিন থেকেই অভিজ্ঞতা রাখছেন। রানি তাদের মাঝে এক তাকিয়ার দূরত্বও রাখতে নারাজ। বিধেয় একটাই সারা পালঙ্ক জুড়ে! রাজা রন ইওহার্ডের মাথায় তলানিতে রয়েছে একটি তাকিয়া। অপরটি পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে। রানি তার পাশেই হাতের উপর শুয়েছেন। দুজনে একে অপরকে জড়িয়ে রেখেছেন আলতো করে। ঈর্ষা হচ্ছে না এরকম ভালোবাসা দেখে? কিন্তু তাদের মাঝে বিদ্যমান ভালোবাসা আরও ঈর্ষান্বিত করতেও সক্ষম হবে। আলোচনা সেদিকে না গিয়ে তাদের অবস্থানে আসি। দুজনে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছেন। দৃষ্টি দিয়ে প্রণয় নিবেদন করছেন উভয়ে। বলা যায় ঘোর লাগা দৃষ্টি! মোহে ডুবে যেতে শুরু করে তারা। রাজার বাম হাতে ডান কাত হয়ে শুয়েছেন রানি। আলতো করে জড়িয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়েছেন রাজা রন। নিজের ডান হাতটি নিয়ে রাঙিয়ে দেয় রানির রাঙা গাল। আলতো করে ছুঁয়ে দিতেই লাল হয়ে আসে গালের মৃদু অংশ! কক্ষে বিদ্যমান আলোতে স্পষ্ট হয় তা! কেশে আলতো করে বুলান হাত। কম্পিত হয় রানির দেহ। খুব সূক্ষ্মভাবে তা অনুভব করতে পারেন তার সঙ্গিনী। আচমকা তিনি মৃদু ক্রোধ ভরা স্বরে উচ্চারণ করেন, ‘হয়েছে! অনেক আদর দিয়েছেন। এখন আসছে আদর দেখাতে! অথচ কত সময় আমার খবরই থাকে না।’কণ্ঠে ক্রোধ অনুভব করলেন রাজা। কৌশল খাটিয়ে যুক্তি দিলেন তিনি। ‘খবর রাখি আর না রাখি, রাতের বেলায় তো ঠিকই আমার বুক ছাড়া আপনার ঘুম হয় না। তখন?’সাথে সূক্ষ্ম খোঁচাও দিলেন তিনি। ‘খোঁটা দিচ্ছেন নাকি? যান, আপনার সাথে শুবোই না আমি।’ঝারা দিয়ে উঠতে চাইলেন রানি। কিন্তু তার চাওয়া অপূর্ণই রয়ে গেল। টান দিয়ে ফের আগের অবস্থানে নিয়ে গেলেন রাজা। চোখের পলকে ডুবিয়ে দিলেন ওষ্ঠাদ্বয়ের প্রণয়ে। হাবুডুবু খেতে শুরু করলেন তারা। এখান অবধিই ক্ষ্যান্ত নন তারা। আরও গভীর ভালোবাসায় ডুবে যাওয়াতে মগ্ন হয়েছেন। ঠোঁটের প্রণয় পূর্ণ হতে দেহের দাবিতে নেমে পড়েন রাজা। রানি গায়ের পোশাক খুলে নিতেই উন্মুক্ত হয় অলঙ্কারে প্রস্তুতকৃত অন্তর্বাস! রন ইওহার্ডের কাছে খুবই স্বাভাবিক এটা! রানি তার! সাধারণ কোনো মানবী কিংবা মৎস নন। তার গায়ে স্বর্ণালংকারে জরাজীর্ণ থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক! অলংকারের তৈরি অন্তর্বাসে হাত দিতেই কেঁপে ওঠেন রানি। সেদিকে ধ্যান না দিয়ে রাজা তিনি তার কাজে বহালতবিয়তে ব্যস্ত। অন্তর্বাস খুলতেই দুধে আলতা গড়নের সুডৌল স্তনের দৃশ্য ফুটে ওঠে। আলতো করে ছুঁয়ে দেন রাজা। তার ছোঁয়া পেয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হয় রানির দেহে। বিষয়টা আমলে নিলেন না রাজা। তিনি যেন অন্য এক আবেশে মুড়িয়ে গেছেন। কী সেই আবেশ! কীসের চিন্তা তার? ফের ছুঁয়ে দিলেন। তবে এবার স্তনের মধ্য বরাবর নয়, খানিকটা উপরে। একটা চিহ্নের উপরে! গোলাকার চিহ্ন! পূর্বপরিচিত হলেও মস্তিষ্ক তার আজ নতুন করে দানা বাঁধছে সূত্রের! যেন তার কাছে ভিন্ন কোনো অর্থ খুঁজে পেয়েছেন! চিহ্নটা ছুঁয়ে দিতে দিতে প্রশ্ন করলেন রানিকে, ‘আচ্ছা এই চিহ্নটা কি তোমার আগে থেকেই ছিল?’
যাবেদ খান আবু বকর। মাতার নাম ফরিদা খান। ২০০৩ সালের মহান বিজয় দিবস দিবাগত রাতে মায়ের কোল আলোকিত করে ভুমিষ্ট হন তিনি। ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় তার জন্ম। লোনসিং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন। নড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। অতঃপর একই কলেজের অধীনে বিবিএস প্রথম বর্ষে বর্তমানে অধ্যয়নরত অবস্থায় রয়েছেন। লেখালিখির যাত্রাটা তার খুব বেশি বড়োও না আবার ছোটোও নয়। ছোটোবেলা থেকেই তার গল্পের প্রতি আলাদা অনুভূতি ছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে আগ্রহটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি প্রথম গল্প লিখেন। দীর্ঘ দিন লেখালিখির পর অতঃপর বইয়ের পাতায় নিজের নাম দেখার ইচ্ছা পোষণ করেন। সেখান থেকেই তিনি তার মারমেইড সিরিজের তিনটি বই লিখেছেন। তার সৃষ্ট মারমেইড সিরিজে রয়েছে ‘সি অব মারমেইড, কিং অব মারমেইড এবং দ্য রিটার্ন অব মারমেইড’। পাঠকদের ভালোবাসা কামনা করছেন তিনি।