যতটুকু মনে পড়ে এটিই আমার সবচাইতে ছোটবেলার স্মৃতি। নানুবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। রাজশাহী থেকে চাঁদপুর। অনেক আলোকিত মনে হয়েছিল শহরটিকে। রাতে পৌঁছনোর পর স্টিমারঘাটের লোকজনের কোলাহলে মুখরিত শহরটির সাথে কিছুক্ষণ এর মায়ায় জড়ানো একটি মুহূর্ত, সাথে অপরিচিত কিছু আলো। এই দৃশ্যটি ভুলতে চাইনি তাই মনে করেছি বারবার। মানুষের চাওয়া—পাওয়াটা খুব অদ্ভুত মনে হয়। অল্প পাওয়ার মধ্যে যে সুখ থাকে বড় কোনো চাওয়ার সংগ্রামে সে পাওয়াটাও হারিয়ে যায়। নিজের ভুল বোঝার পরে অনুতপ্ত হলেও অন্যের ভুলের কারণে সৃষ্ট অবস্থাটাকে নিয়তি বলেই মেনে নিতে হয়। মনকে নিয়ন্ত্রণ করা বুদ্ধিমানের কাজ বলা হলেও নিয়ন্ত্রিত মনের কাছে নিজের ইচ্ছেকে দমন করে রাখাতে জীবনটাই বিষণ্ণ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় নিজের মন পারিপার্শ্বিকতার সাথে খাপ খায় না, আবার পুরোপুরি মনের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। এই যে মনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাওয়া জীবনের ক্লান্তিটুকুই এই লেখাটির মূল ভাবনা। এই লেখাটির প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক হলেও এরকম অসংগতি যেকোনো মানুষের জীবনে আসতেই পারে। মোকাবিলার উপায় কিছুটা তো মানুষের হাতেই আর বাকিটাকে ভাগ্য বলা ছাড়া উপায় খুঁজে পাই না। এই জগতের সব চাওয়া যে নিজের মনের মতো করে হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রাপ্তিটুকুকেই সোনালি ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে চাই। সালমা জাকিয়া বৃষ্টি