প্রাচীন মিশরীয় দেবতা রা'য়ের মন্দিরের পুরোহিত রাহোটেপ। সৎ আর একনিষ্ঠ এই পুরোহিত জড়িয়ে পড়লেন এক শয়তান যাজিকার প্রেমে। ফলে জন্ম হলো তীব্র এক অপশক্তির, যার কাছে মানুষ তো দূরের কথা, দেবতারাও দিশেহারা হয়ে পড়লেন। আর তখনই ভবিষ্যদ্বাণী এলো, সিংহদেবী সেখমেত জন্মাবেন মনুষ্যরূপে, বিনাশ করবেন সেই বাড়ন্ত অপশক্তিকে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! অপশক্তির গর্ভেই জন্মালেন সিংহদেবী। বিনাশও করলেন একসময় ন্যায়দণ্ড হাতে। কিন্তু পাপের বিনাশ কি এতই সহজ? না, যুগে যুগে পাশাপাশি অবস্থান করা আলো এবং আঁধার আগেও ছিল আজো আছে, থাকবেও ভবিষ্যতে। যার ধ্বংস স্রেফ অসম্ভব। কিন্তু সমতা হয়তো সম্ভব। আর এই সম্ভাবনাকেই সামনে রেখেই যুগে যুগে অভ্যুত্থান ঘটে সম্ভবামিদের। আলোক কন্যা এমনই এক সম্ভবামি! যার উত্থান ঘটতে চলেছে এই আধুনিক যুগে। বর্তমান মিশরের মাটিতে? নাহ, সে আবার এসেছে ফিরে আমাদের চিরচেনা আষাঢ়ে ভেজা সবুজ বাংলায়। সাথে থাকবে বৃষ্টি নামিয়ে আনতে পারার মতো এক বৃষ্টি যুবরাজ। আর ধর্মের লড়াই হবে অধর্মের বিরুদ্ধে। চেনা জানা অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নয়, নয় কোন বাহুশক্তিতেও। মনস্তাত্ত্বিকতাই এখানে মুখ্য অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে সবার। কী মনে হয়, জয় হবে আলো অথবা আঁধারের? উহুঁ! এখানে জয় বা পরাজয়ের হিসেব নয়, থাকবে মনস্তাত্ত্বিকতার স্বার্থকতা আর প্রাচীন অপ্রাপ্তির ফিরিস্তি। ধর্ম অধর্ম দুপক্ষেরই। থাকবে অপূর্ণ থাকা কিছু গল্পের পূর্ণতা। জয় অথবা পরাজয়ের মধ্যমায়। এই গল্প বিষণ্ণ চোখের এক আলোক কন্যার। এই গল্প তীব্রদৃষ্টির অধিকারী বৃষ্টি যুবরাজের। বিড়ালদেবী বাস্তেত, তীব্র ক্ষমতার সম্রাট-সম্রাজ্ঞী ওসাইরিস আর আইসিসেরও গল্প এটা। আছে জীবনের সমস্ত সূত্র জানা পূজারিনি নেখতার, নিঃস্বার্থ এক যুবক প্রেমিকও।