কলকাতার জোড়াসাঁকোর ৬ নম্বর দ্বারকানাথ লেনের বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে বাংলা ২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ তারিখ; ইংরেজি ৭ই মে, ১৮৬১ তারিখে রোজ মঙ্গলবার ভোর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা, সার্থক ছোটোগল্পের ¯্রষ্টা ও বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে যুগে ‘ব্লাক টাউন’ নামে জোড়াসাঁকোর পরিচিতি ছিল। অত্যন্ত দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলগুলো ছিল এই জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির আশপাশে। এই জায়গাটা সে সময়ে ছিল শহরের প্রাণকেন্দ্র। কবির পিতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭১৯০৫) আর মাতা সারদা দেবী (১৮২৪৭৫)। মধ্যবয়সে এসে কবির বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২১৮৩৩) প্রবর্তিত ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই এ পরিবারের সকলে ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী হয়ে যায়। ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার। রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন কবির পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে মহর্ষি অভিধায় ভূষিত করেন। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী, তিনি মূর্তি পূজারি পৌত্তলিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একেশ^রবাদী। তবে একথা সত্য যে, রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা মূর্তি পূজারি হিন্দু ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে বাস করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স যখন চৌদ্দ বছর, তখন তাঁর মা মারা যান। সনটি ছিল ইংরেজি ১৮৭৫। অস্পৃশ্যতা প্রথার কারণে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) যশোর—খুলনার পিরালি ব্রাহ্মণ
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বন্ধুমহলে তিনি আশিক মিজান নামেও পরিচিত। অবশ্য লেখালেখির ভুবনে তিনি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। তাঁর জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৫ নভেম্বর, পিরোজপুর সদর উপজেলার খানাকুনিয়ারী গ্রামে। মা জামিলা খাতুন বাবা মুজিবুর রহমান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন পিরোজপুরে। আরবি ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকে জাতীয় দৈনিকে প্রবন্ধ লিখলেও ছড়া, কবিতা ও গল্প লেখার শুরু কর্মজীবনে। দৈনিক ইত্তেফাকের শিশুসাহিত্য বিভাগে লেখার মধ্য দিয়ে প্রবেশ সাহিত্যজগতে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একজন সফল লেখক হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন । দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’তে লিখছেন শিক্ষা নিয়ে। দৈনিক ‘নয়া দিগন্ত’ ও ‘ইত্তেফাক’-এর বিভিন্ন বিভাগেও লেখালেখি করছেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে তাঁর আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাসিক প্রকাশনা অগ্রপথিকেও তিনি নিয়মিত লিখেছেন। লিখছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত শিশু পত্রিকায়। তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন দেখাতে পছন্দ করেন। কারণ, স্বপ্নের মাঝে লুকিয়ে থাকে আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ।