রান্না কেবল শিল্পই নয়। এ হচ্ছে রিতি মত গনিত এবং বিজ্ঞান। যে কোন রেসিপি মানে রন্ধন প্রনালী লক্ষ্য করে দেখুন সেখানে রান্নার বিভিন্ন উপাদানের পরিমানের হিসাব। একে আপনি গনিত না বলে কি বলবেন! আর বিজ্ঞান! পরীক্ষা নিরীক্ষা লব্ধ বিশেষ জ্ঞানই তো বিজ্ঞান। কোনটার সাথে কি মিশাবেন কিম্বা ভুলেও মিশাবেন না। মিশালে শরীরে খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে এসব দিক নির্দেশনা অবশ্যই বিজ্ঞান সম্মত। কিন্তু রান্না করা অনেকের কাছে আনন্দের, আবার অনেকের কাছে বিড়ম্বনার তবে রান্নাটা আমার কাছে নেশার মত। আবিষ্কারের নেশা, সৃষ্টির নেশা, একটা খাবারের সাথে আরেকটা খাবার মিশালে নতুন এক খাবার তৈরী হয়ে যায়। ফিউশন করা যায়। এ এক মজার খেলা আমার কাছে। শুরুটা সেই ছোট বেলা থেকেই। রান্না বাটি খেলতে খেলতেই রান্নার সঙ্গে প্রেম হয়ে যায়। মার থেকেই অনুপ্রেরণা। আম্মুর রান্নার হাত ছিলো ভাল। সবাই আম্মুর রান্নার অনেক সুনাম করতো। আমার আব্বু বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কো: লি: এর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। সেই কমিউনিটিতে মেয়েদের জন্য মাদার্স ক্লাব নামে একটা ক্লাব ছিল। সেখানে রান্নার কম্পিটিশন হতো। আম্মু অনেকবারই উইনার হয়েছিলো। আম্মুকে দেখতাম ঐ সময়ই ফিউশন করত। বিভিন্ন সব্জি, ফল, শস্য দিয়ে পায়েশ করত। এটার সাথে ওটা মিশিয়ে খিচুড়ি করত। বিভিন্ন জেলো ব্যবহার করে পুডিং বানাত আর এগুলো আমাকে আকৃস্ট করত। আমি মেতে থাকতাম রান্না নিয়ে সৃষ্টির খেলায় বিভিন্ন রকম মিশেল করে নতুন কিছু তৈরী করে ভিষন আনন্দ পেতাম। এ শুরু। ষষ্ঠ শ্রেনীতেই কিচেনে ঢুকি। বিভিন্ন নাস্তা বানিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে আনন্দ পেতাম সবাই খুব প্রশংসা করত। এতটুকু মেয়ে এত কিছু পারে, মায়ের রান্নার হাত পেয়েছে। এতেই মজা পেতাম।