সৃষ্টির শুরু থেকে বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষ পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। মানুষ হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তি তার আপন চিন্তাচেতনাকে লালন করে বেড়ে ওঠে। চিন্তার ভিন্নতা ব্যক্তি তথা লিঙ্গভেদে পরিলক্ষিত। নারী পুরুষের মনন জগতের এই ভিন্নতাই জীবন পথে চলার সৌন্দর্যতাকে বৃদ্ধি করে। কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে মতের অমিল হলে স্ত্রী যখন অভিমানের পসরা সাজান, স্বামী তখন আবেগ ও বিবেকের সংমিশ্রণে পরিস্থিতি সামলাবেন। আবার স্বামীর খামখেয়ালি মনোভাব, ভালোবাসাকে জাহির করতে না পারার ব্যর্থতাকে স্ত্রী আপন গুণে আগলে নিবেন। কঠোরতার বিপরীতে নমনীয়তা, চুপ থাকার বিপরীতে কথা বলা, পরিস্থিতিকে একচোখা ভাবে বিবেচনা করার বদলে ভিন্নভাবে দেখতে চাওয়া। ছোট-ছোট এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলেই নিস্তেজ হয়ে পড়া সম্পর্ক পুনরায় সতেজ হয়ে উঠতে পারে। দাম্পত্য জীবনের রসায়নে অভিমান অনুযোগের ঢেউ আসেনি এমন দম্পতি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিক‚ল পরিস্থিতিতে একের পর এক ঢেউ যখন আছড়ে পরে জীবন কিনারায়; সবর-তাওয়াক্কুল-দাম্পত্য টোটকার মাধ্যমে কীভাবে শক্ত কদমে পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায় তা তুলে ধরার সামান্য প্রয়াস করা হয়েছে এই বইয়ে। বিবাহিত, অবিবাহিত দুই শ্রেণির পাঠকদের জন্য বইটি হতে পারে একটি উৎকৃষ্ট গাইডলাইন বি’ইযনিল্লাহ।
ড. আবু আম্মার ইয়াসির ক্বাদি (বা ইয়াসির কাজি) হলেন একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আমেরিকান মুসলিম লেখক এবং পশ্চিমা বিশ্বে বহুল পরিচিত অন্যতম ইসলামিক শিক্ষামুলক প্রতিষ্ঠান, আল-মাগরিব ইন্সটিটিউটের একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিন। তিনি ইসলাম ও সমসাময়িক সাম্প্রতিক ইসলামিক বিষয়াবলির উপর উপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন এবং লেকচার দিয়েছেন। ২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে ইয়াসির ক্বাদিকে "আমেরিকার ইসলামে একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জন্ম ১৯৭৫ খ্রি. আমেরিকার হিউস্টন, টেক্সাসে। মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী আকিদায় এম.এ. করেছেন। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ‘ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে। এ ছাড়া হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেছে রাসায়নিক প্রকৌশলে। বর্তমানে তিনি আল-মাগরিব ইন্সটিটিউট-এঅ্যাকাডেমিক বিষয়ক ডিন।