বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে অনর্গল মিথ্যা বলতে পারে আনিস। বিষয়টা মোটামুটি শিল্পের রূপ পেয়েছে তার সুবাদে। আর তাতে আনিসের আত্মবিশ্বাস এত বেশি যে ওর মনে হয় মিথ্যা কথা বলে জগতে সবকিছু করাই সম্ভব। এই নিয়ে বাজি হয়ে যায় বন্ধু শাহেদের সঙ্গে। কঠিন কিছু শর্ত দেয় শাহেদ। আনিস তাতেও রাজি। বাজি জিততে আনিসকে যেতে হলো দূরের এক মফস্বল শহরে। সবসময়ের ছায়া, বন্ধু ইমতিয়াজ তার সঙ্গী। গিয়ে ঢুকল এমন এক পরিবারে যেখানে সেলিম মামা যে কোনো মূল্যে বিদেশে যেতে চান। রনির আজন্ম স্বপ্ন একটি কবিতার বই বের করা। কিন্তু আনিসকে যে প্রেমও করতে হবে! মিথ্যা দিয়ে একটা মেয়েকে ভোলানোর কঠিনতম শর্তও আছে বাজিতে। সেটা করতে গিয়েই এক ভয়ংকর গোলমেলে অবস্থা। প্রেম হলো কি হলো না, বন্ধুত্ব তার সমান্তরালে কী করে চলে নাকি চলে না, এসব প্রশ্নের উত্তরই খোঁজা হয়েছে আপাত হাসির এই উপন্যাসে। আছে সুন্দরী আর কাম্য মেয়েদের কিছু অদৃশ্য সমস্যার কথাও। শেষ পর্যন্ত এটা তাই যতটা হাসির উপন্যাস, ততটাই প্রেমের। এবং ঠিক ততটাই বন্ধুত্বের। মোস্তফা মামুনের সঙ্গে তারুণ্যের এই বিচিত্র রাজ্যে গেলে কখনও মনে হবে অস্বাভাবিক কিছু মানুষই আসলে পৃথিবীটা টিকিয়ে রেখেছে। কখনও প্রশ্ন জাগবে প্রেম আর বন্ধুত্বের কোনটাকে ওপরে রাখা উচিত! আর শেষপর্যন্ত বোধহয় মনে হবে মিথ্যা বলাটা সবসময়ই মহাপাপের নয়।
Mustafa Mamun বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ছিল আইন। কিন্তু আইনজীবী আর হওয়া হয়নি। এমন আরো অনেক না হওয়ার ভিড় পেরিয়ে যতসামান্য যা হয়েছে তার পুরোটাই লেখালেখিকেন্দ্রিক। লেখক এবং সাংবাদিক, আপাতত এটাই নামের পাশের পরিচয় । জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তারপর সিলেট ক্যাডেট কলেজের রোমাঞ্চকর জীবন। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মান প্রথম বর্ষ থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতা নামের দারুণ আনন্দময় এক পেশায় জড়িয়ে পড়া। খেলা দেখতে আর লিখতে ভ্ৰমণ করা হয়ে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশ। বন্ধু-আডডা-মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে। বই পড়া, খেলা দেখাও আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের কাজ লেখা। এই নিয়ে চলছে জীবন। ভালোই তো চলছে!