ফ্ল্যাপে লিখা কথা আবীর আর রিমি পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। কিন্তু কয়েক বছর সংসার করার পর এখন তাদের মনে হচ্ছে আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। আবীরের মনে হয় রিমির পিছুটান থাকায় সে তার জীবনটা উপভোগ করতে পারছে না। রিমির মনে হয়ে সে বন্দী জীবনযাপন করছে। আলাদা হওয়ার কিছুদিন পর আবীর দেখে রিমি আরেক লোককে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে। আবীর অবাক হয়ে লক্ষ্য করে বিষয়টা সে মেনে নিতে পারছে না। আস্তে আস্তে সেটা তার কাছে এমন অসহনীয় হয়ে ওঠে যে সে অভিযোগ করতে থাকে রিমির এই সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল। রিম তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। রিমি তার কোনো কথাই আর শুনতে চায় না বলে তার মেজাজটা ভীষণ খারাপ হয়। কোনোভাবেই রিমিকে ফেরাতে না পেরে সে একটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেয়। অদ্ভুত সিদ্ধান্তে, অদ্ভূত পদ্ধতিতে সমাধানের চেষ্টা। মানুষের সম্পর্ক, বিশেষত প্রেমের সম্পর্ক এমন অদ্ভুত একটা ব্যাপার যে সেটা আছে না শেষ হয়ে গেছে মানুষ নিজেরাই অনেক সময় তা বুঝতে পারে না। বোঝার জন্য কখনো কখনো দরকার পড়ে তৃতীয় চোখ। সেই তৃতীয় চোখ কখনো ভেঙ্গে যাওয়া সংসারকে জোড়া লাগায়, সু্প্ত প্রেমকে দেয় নতুন জীবন। এটা সেই সুপ্ত প্রেমের পুনর্জন্মের গল্প। বিচ্ছেদ দিয়ে মিলনের গল্প।
Mustafa Mamun বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ছিল আইন। কিন্তু আইনজীবী আর হওয়া হয়নি। এমন আরো অনেক না হওয়ার ভিড় পেরিয়ে যতসামান্য যা হয়েছে তার পুরোটাই লেখালেখিকেন্দ্রিক। লেখক এবং সাংবাদিক, আপাতত এটাই নামের পাশের পরিচয় । জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তারপর সিলেট ক্যাডেট কলেজের রোমাঞ্চকর জীবন। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মান প্রথম বর্ষ থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতা নামের দারুণ আনন্দময় এক পেশায় জড়িয়ে পড়া। খেলা দেখতে আর লিখতে ভ্ৰমণ করা হয়ে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশ। বন্ধু-আডডা-মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে। বই পড়া, খেলা দেখাও আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের কাজ লেখা। এই নিয়ে চলছে জীবন। ভালোই তো চলছে!