হেড স্যার সবাইকে উদ্দেশ করে বললেন 'ওর নাম রিতা, তোমাদের নতুন সহপাঠী। বাবার বদলিসূত্রে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এর আগেও চারটি স্কুলে পড়েছে। পড়াশোনায় ভালো; বিতর্কে তুখোড়।' উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের হালকা পাতলা মায়াবী মেয়েটার চোখে ভারী মোটা কাচের সোনালি ফ্রেমের চশমা! পরে জানা গেল সে চোখে দেখতে পায় না, জন্মগতভাবেই লিবার কনজেনিটাল এমারোসিস নামক বিরল রোগে আক্রান্ত। তারপরও তাকে কেন বিতর্ক দলে নেওয়া হলো? ভূগোল স্যারকে দেখে সবাই একশ হাত দূরে থাকার চেষ্টা করে। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার মতো স্যারকে কোনো প্রশ্ন করলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তারপরও কামরুজ্জামান বিএসসি ওরফে ভূগোল স্যার অল্প কয়েক দিনে ছাত্রছাত্রীদের কাছে কীভাবে এত প্রিয় হয়ে উঠলেন? নানুবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। এরপর থেকে সাপ নিয়ে নানা প্রশ্ন কিলবিল করতে থাকে জিসানের মাথায়। সে কি পারবে এসব প্রচলিত ধারণার রহস্যভেদ করতে? নৌবিহারে লঞ্চের ভিতর কোথায় লুকিয়ে ছিল বোন্টু? তাকে কীভাবে খুঁজে বের করল জিসান ও তার বন্ধুরা? জিনিয়াস জিসানকে সাথে নিয়ে 'হানি প্রজেক্ট' করে বোল্ট কি পারবে বিলিয়নিয়ার হতে?
অনুপ্রেরণামূলক বক্তা, লেখক ও জাতীয় বিতর্ক সংগঠক। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত। ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর লেখালেখি, সংগঠন, সম্পাদনায় সখ্যতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের বেশকিছু বিতর্ক ও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেওয়া ছাড়াও সম্পৃক্ত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার এর অনুষ্ঠান বিভাগে। লেখালেখির শুরুটা অবশ্য কবিতা দিয়ে, বাল্যবেলা থেকেই। জন্মজেলা কুষ্টিয়ার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যানুকূল পরিবেশ ছিল তাঁর জন্য বাড়তি উৎসাহের উৎস। দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকসহ তথ্য মন্ত্রনালয়ের মাসিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনুপ্রেরণামূলক নিবন্ধ। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এ প্রকাশিত তাঁর প্রথম বই ‘ক্যারিয়ার ক্যারিশমা: সাফল্যের সাতপাঠ’ তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পায়। এছাড়া, শিশু-কিশোর ও তরুণদের জন্য ‘বিতর্কে হাতেখড়ি’ এবং ‘বিশ্বনন্দিত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী’ তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।