পুরাণ মতে কীভাবে সৃষ্টি হলো জাপান দেশের? ইজানাগি আর ইনাজামি নামের দুই দেব-দেবীর গল্প শুনবেন? অগ্নিদেবতা কাগুতসুচি, সূর্যদেবী আমাতেরাসু, চন্দ্রদেবী সুকুইয়োমি জন্ম নিলো কীভাবে? জানেন, ইজানাগির নাক পরিষ্কারের ফলে জন্ম নেয়া অবাধ্য সন্তান ইজানাগির বীরত্বের কথা আজও মুখে মুখে ফেরে? শুনতে বিচিত্র লাগছে? তাহলে তো অনেক কিছুই বলা বাকি। জাপানে গেলে দেখা মিললেও মিলতে পারে ইয়োকাইদের। হেসে উড়িয়ে দেবেন না যে বড়! জাপান পুরাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এই ভয়ঙ্কর প্রাণীরা। শুতেন-দোজি, তামামো নো মে আর সুতোকু তেন্নো; এই ত্রি-মূর্তি হলো সবচে’ ত্রাস সৃষ্টিকারী ইয়োকাই। তবে শুধু যে খারাপ ইয়োকাইয়ের দেখা পাওয়া যায় এমন না, উপকারী ইয়োকাইও আছে কিন্তু। সেটা নাহয় পাতা উল্টে জেনে নেবেন। তাওয়ারা তোদা বনাম দৈত্যাকৃতির কেঁচোর লড়াই, নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া উরাশিমা তারো আর সমুদ্রের রাজকন্যার গল্প কিংবা কাগুয়া হিমে, রাজপুত্র ইয়ামাতো তাকেরু’র বীরগাথার মতো নানান রঙ-রসের রূপকথা আর লোককাহিনী মিশে আছে জাপানিজ মিথলজিতে। জাপানি পুরাণ যেন জ্ঞান, নৈতিক শিক্ষা আর বিনোদনের এক অফুরন্ত এক ভাণ্ডার। ছোট্ট কলেবরের সেই কথকতায় আপনাকে স্বাগতম!