স্বদেশী আন্দোলন পরবর্তী নগরকেন্দ্রিক "বাবু পলিটিক্স" বাংলার প্রাদেশিক রাজনীতিতে একপ্রকার নিস্তরঙ্গতার জন্ম দিয়েছিল। শহুরে 'ভদ্রলোক' শ্রেণীভুক্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে জনগনের অংশগ্রহণের গুরুত্ব অনুধাবন করেননি। বাংলার প্রাদেশিক রাজনীতিতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আবির্ভাবের ফলস্বরূপ এই জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটে। সমাজের উচ্চবর্ণের স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার শ্রমিকশ্রেনী- তথা 'দরিদ্রনারায়ণের" আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজের নিম্নবর্গীয় "আটানব্বই শতাংশের জন্য স্বরাজের" আদর্শকে তুলে ধরেন।,br> সমাজের উচ্চবর্গের স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার হিসাবে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পরিচালনার পরিবর্তে তিনি জনসাধারণ, কৃষকসমাজ, শ্রমিক শ্রেণীর আর্থসামাজিক সমীক্ষার মাধ্যমে সমাজের নিম্ন বর্গীয়' আটানব্বই শতাংশের জন্য স্বরাজের' আদর্শকে তুলে ধরেন। ১৯১৭ সালের ভবানীপুর সম্মেলনে বাংলাভাষায় বক্তৃতা প্রদান এবং পরবর্তীকালে কংগ্রেসের গ্রামকেন্দ্রিক সংগঠনগুলির উপর গুরুত্ব আরোপ ও বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, অনিলবরণ রায়ের ন্যায় গ্রামের গণসংগঠনের সাথে যুক্ত নেতৃবৃন্দকে কলকাতার বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি নিয়ে আসার মাধ্যমে চিত্তরঞ্জন গ্রাম ও শহরের রাজনৈতিক মেলবন্ধন আন্দোলন গড়ে ভোলার প্রয়াস করেন।