“বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস( ১৮৩০-১৯৭১)" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাঙ্গনে, সন্ত্রাসের দায়ভাগ ভােগ করতে হচ্ছে এখন ছাত্রদের। দীর্ঘদিন থেকে পাবলিক পরীক্ষায় অবাধে দুর্নীতির সুযােগ করে দেওয়া হয়েছে, ছাত্রদের বানানাে হয়েছে নকলবাজ। এভাবে একটার পর একটা ষড়যন্ত্রের জালে ফেলে জনগণ থেকে ছাত্রদের বিচ্ছিন্ন করার একটি সুদূর প্রসারী চক্রান্ত দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু দেড়শত বছরের বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের অভিজ্ঞতা বলে, ছাত্ররা এ জিঞ্জির ভেঙেই সদর্পে তার ঐতিহ্যপানে এগিয়ে যাবে। ২০০০ সাল থেকে শুরু হবে একুশ শতকের যাত্রা। এই শতকে ছাত্র আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হবে তার ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই। এদেশের ছাত্ররা দীর্ঘদিন থেকেই একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং গণমুখী শিক্ষানীতির জন্য সংগ্রাম করে এসেছে, তাদের সেই আকাঙ্ক্ষিত দাবী পূরণের বিষয়টি এখনাে অপেক্ষিত। পবিত্র ধর্মের বিকৃত ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের লড়াই একুশ শতকে আরাে তীব্রতা লাভ করবে এটা ১৯৯৯ সালের নানা ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অমিততেজী বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তার যােগ্য ভূমিকা পালন করতে আবারও সকল জঞ্জাল ও অপবাদকে পদদলিত করে জাতির পাশে দাঁড়াবে, ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের এই অখণ্ড সংস্করণ প্রকাশের প্রাক্কালে মনের গভীর তলদেশ থেকে সেই কামনা করছি। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস-এর এই সংস্করণ প্রকাশে এর প্রকাশক জনাব । ওসমান গনির পরিকল্পনা, উৎসাহ এবং ভূমিকাই প্রধান। এ বিষয়ে সকল প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তবে আগামী প্রকাশনীর আধিকারিক কামরুল হাসান মেনন ও অন্যান্যদের আগ্রহ এবং শ্রমকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
ড. মােহাম্মদ হাননান সহস্রাব্দ ও শতাব্দীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইত্যাদির ওপর যে। সংগ্রহ-সংকলনটি করেছেন তা অনুসন্ধিৎসু যে-কোনাে পাঠকের কাছেই বিশ্বকোষের স্বাদ এনে দেবে। শতাব্দীর বাংলাদেশ, শতাব্দীর বিশ্ব, সহস্রাব্দের বাংলাদেশ, সহস্রাব্দের বিশ— গ্রন্থ চারটিকে নানাভাবেই সাজানাে যায়। এখানে পাঠক বাংলাদেশকে পাবেন দু’ভাবে-শতাব্দী ও সহস্রাব্দের মতাে করে, আবার বিশ্বকেও পাবেন শতাব্দীর পাশাপাশি সহস্রাব্দের পটভূমিতে। শতবছর অথবা হাজার। বছরের পরিক্রমায় বাংলাসমাজ ও বিশ্বসমাজ এভাবেই গ্রন্থ চারটিতে মূল্যায়িত হয়েছে।