ফ্ল্যাপে লিখা কথা ভ্রমণ কাহিনী সকল স্তরের পাঠক সমাজকে আকর্ষণ করে ব্যাপকভাবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশ বিদেশের কাহনী, জীবন ও জগৎ, প্রকৃতি ও প্রগতি, চিন্তা ও চেতনা সম্পর্কে ধারণা ও উপলব্দি হচ্ছে জ্ঞান ও আহরণের বিশেষ অধিক্ষেত্র। তাই ভ্রমণ কাহিনীমূলক সাহিত্যের কদর হচ্ছে সর্বত্র। এ সত্যকে অনুধাব করে “পথে প্রান্তরে” নামক এই ভ্রমণ সাহিত্যে সন্নিবেশিত হয়েছে কানাডার মতো সম্পদশালী ও উন্নত দেশের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য বহুল উপস্থাপনা, স্বপ্নের দেশ বিলেতের কথা, বার্ম মুল্লুকের বিচিত্র কাহিনী, খাবার ও খেলার ভুবনে ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনার বর্ণনা এবং বাংলাদেশের নগরে বন্দরের দর্শনীয় স্থানের কাহিনী। “পথে প্রান্তরে” ভ্রমণ সাহিত্যে বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যময় জীবন যাত্রা ও ভূ-প্রকৃতি, তথ্যভিক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সাবলীল পরিবেশনা যা যুব সমাজ, গবেষক< সাহিত্যিক ও দেশ বিদেশের সকল স্তরের জনগণের কাছে সমাদৃত হবে দীর্ঘদিন ধরে। “পথে প্রান্তরে” জ্ঞানের ভুবনে অনবদ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে, পাঠকের মানষপট নতুন উদ্দীপনার সূচনা করবে।
ভূমিকা বিভিন্ন সময়ে দেশে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে বহুবার। আমার দেখা স্মৃতির পাতা থেকে কিছু অনুভুতি ও অভিজ্ঞতার অংশীদার হতে সাহায্য করার লক্ষ্যেই এই ভ্রমণ কাহিনীমূলক সাহিত্য রচনার উদ্যোগ। ভ্রমণ কাহিনীমূলক সাহিত্য শুধুমাত্র জ্ঞানের পরিধি বিকাশে সাহায্য করে তাই নয়, আধুনিকতার মানসিকতা ও কৌশলগত অভিজ্ঞতার বিকাশ ঘটে। কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা ছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণের আনন্দ এবং বাংলাদেশীয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কেমন আছেন, গল্প আকারে পরিবেশন করা হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে, খাবারের ভুবনে বিশ্বব্যাপী কত বেশি বৈচিত্র্য আছে, স্থান পেয়েছে এই ভ্রমণ কাহিনীতে।
সূচিপত্র টরেন্টোর পথে হিথরো বিমান বন্দর আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে টরেন্টো বিমান বন্দর টরেন্টো একটি প্রাচীন শহর অন্টারি ও সম্পদশালী প্রদেশ অণ্টারিও রাজ্যের নির্বাচন আকাশে টরেণ্টোর গৌরব হ্যালোইন একটি উৎসব রবফ যুগের স্মৃতি : নায়গ্রা জলপ্রপাত ব্রিস্টল সাগরের উপকূলে ইংল্যান্ডের অগ্রগতি বিলেতের স্বপ্ন গ্রীনীচ মান মন্দিরের পাশে নগরে বন্দরে খাবারের রাজ্যে বৈচিত্র্য প্রবাসে বাংলাদেশী বাংলার পথে পথে নীরমহলে, আলো আর শব্দের মাঝে ভ্রমণে বৈচিত্র্য ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্ব স্মৃতির পাতায় : দিনান্তে নিশান্তে বাড়ীর কাছে আরশী নগর
ধীরাজ কুমার নাথ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার রফিকপুর গ্রামে ১৯৪৫ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতাÑ স্বগীর্য় করুণা কান্ত নাথ, মাতাÑ স্বর্গীয়া সাবিত্রী সুন্দরী দেবী। তিনি চৌমুহনী মদনমোহন হাই স্কুল থেকে ১৯৬০ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। তিনি নোয়াখালি সরকারি কলেজে অধ্যাপক হিসেবে ৩ বছর কর্মরত থেকে ১৯৬৯ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি গাজীপুর মহকুমার প্রথম প্রশাসক হিসেবে ১৯৭৮ সালে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের ‘আইসিপিডি+৫’ বিশেষ সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি ও রেড ক্রিসেন্ট সমিতির আজীবন সদস্য। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং পল্লী-উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৩ সালে সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ক্ষুদ্র ঋণ ও সমবায় আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হচ্ছে ‘পথের দু’ধারে’, ‘সম্প্রতির জনপদে’, ‘সুশাসন : নির্বাচন’, ‘অধিকার : সংস্কার’। তিনি ডেইলী স্টার, দি ইনডেপেন্ডেন্ট, প্রথম আলো, ইত্তেফাক ও যুগান্তর পত্রিকার নিয়মিত কলামিস্ট। তিনি ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।