"গুণীজনের পড়াশোনা" বই এর ফ্ল্যাপের লেখা একজন লেখকের একক কাহিনি প্রকাশের বদলে সিরিজ ভাবনার সূত্রপাত। বিভিন্ন লেখক কিংবা সম্পাদকের নামে প্রকাশিত সিরিজের গোয়েন্দা কখনও এক আবার কখনও ভিন্ন। দীর্ঘমেয়াদে সিরিজের প্রকাশ ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তারই ইঙ্গিতবাহী। প্রথম যুগের গোয়েন্দা কাহিনি সম্পর্কে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের একাংশের উন্নাসিকতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ কিছুটা স্তিমিত বলে মনে হয় ৷ গোয়েন্দা কাহিনিতে সমকালীন সমাজ ভাবনা বা রাজনীতি চেতনার সচেতন প্রয়োগ, এই পর্বের আরও একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। ষড়যন্ত্র কিংবা অপরাধের প্লটে অনায়াসে জায়গা করে নেয় বিধবা বিবাহের পক্ষে অথবা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনুকূলে সওয়াল। গোয়েন্দা কাহিনি প্রকাশ করে ব্যাবসা কেমন হত সেই বিষয়েও একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।আমার তো খুব ইচ্ছা ছিল যে পড়াশোনা করি, কিন্তু কই তা হল। বৃদ্ধবয়সে কথামৃতকার শ্রীম-র কাছে আক্ষেপ করেছিলেন বিদ্যাসাগর। যুদ্ধক্ষেত্রে নেতাজীর কাছে থাকত গীতা।সমরাঙ্গনেও মশারির মধ্যে ঢুকে তিনি শোবার আগে বই পড়তেন। ১৭৯৮ সালে মিশর অভিযানে নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছিল এক জাহাজ বই আর ১৭৫ জন পণ্ডিত ব্যক্তি- যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নেপোলিয়ন নানা বিষয়ে আলোচনা করতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বই – ভাবা যায়! বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, মধুসূদন, শরৎচন্দ্র, সুভাষচন্দ্র থেকে নেপোলিয়ন, আব্রাহাম লিঙ্কন, টলস্টয় কেমন ছিল তাঁদের পড়াশোনা, সাহিত্যচর্চা। কেমন ছিল তাঁদের পড়াশোনার ধরন, গ্রন্থ নির্বাচন। গুণীজনদের সাহিত্যচর্চা নিয়ে আশ্চর্য এক বই।