এই বইটি বেড়ালের, যার দুই মলাটের মধ্যে চাপা পড়ে আছে নানারকম বেড়াল। বই খুললেই মিঁয়াও ডাক ছেড়ে একে একে বেরিয়ে আসবে তারা। কত্ত বেড়াল! আছে টুবলুর ছোট্ট বেড়াল—বিল্লু, আছে বাঘের সাথে টক্কর দেওয়া ধেড়ে বেড়াল—মজন্তালী সরকার। আছে ধবধবে সাদা বেড়াল—রুপী, দিলরুবার কুচকুচে কালো বেড়াল—তাতাই। আছে জেলেদের লাথি-ঝাঁটা খাওয়া রোগা বেড়াল, আর গোয়ালাদের দুধভাত খাওয়া মোটা বেড়াল। সব রকমের বেড়ালের সন্ধান আছে এই ‘সারাদিন বেড়ালের সঙ্গে’ বইয়ে। তলস্তয়, নিকোলাই নোসভ থেকে শুরু করে অ্যালেন পো, আমাদের উপেন্দ্রকিশোর-বঙ্কিমচন্দ্র থেকে মহাশ্বেতা দেবী-লীলা মজুমদার-নবনীতা দেবসেন, ইতালো কালভিনো থেকে হালের হারুকি মুরাকামি—প্রিয় লেখকদের মধ্যে কে লেখেননি বেড়াল নিয়ে? শত জ্বালাতন সত্ত্বেও বেড়ালের তুলতুলে নরম লোমে ঢাকা নিষ্পাপ মুখ আর সুরেলা মিঁয়াও ডাক পাষাণ হৃদয়-অব্দি গলিয়ে দেয়, লেখকদের মনকে তো নাড়া দেবেই। বেড়াল এমন এক প্রাণি যাকে লোকে এমনি এমনি ভালোবাসে। তেমনি বেড়ালের গল্প পড়তেও লোকে এমনি এমনিই ভালোবাসে। বেড়াল যেমন আমাদের প্রিয় তেমনি একসাথে গোছানো বেড়ালের এতগুলো গল্পের এই সংকলনটি হয়ে উঠতে পারে আমাদের প্রিয় বই। চৈতী রহমান শিশুসাহিত্যিক ও অনুবাদক
এহসান হায়দার(Ahasan Hydar), জন্ম ৩০ মার্চ। পৈতৃকভিটা সুন্দরবনের কোলঘেঁষা খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার গড়খালী গ্রাম। তিনি মূলত কবিতা লেখেন। কাজ করতে ভালোবাসেন শিশুদের জন্য। এই কারণে নিজের ভালো লাগার সবটা জুড়ে থাকে শিশু-কিশোরদের দল। ‘রূপকথা’ নামে শিশু-কিশোরদের একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। পুরকৌশল বিদ্যায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এখন কাজ করছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।