সু-বিশাল সবুজের কি অপরূপ সমারোহ, নদীও তো অপরুপে জল ভরে, প্রবাহ পাথারের জমিগুলো রহমতে পূর্ণ, শ্রমিকের শ্রমে সদা রিজিকের ব্যবস্থা করে দেয় আল্লাহ। খাই বা না খাই, নিশ্চিন্তে স্বাধীনতার সুখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, অত্যন্ত মিলেমিশে, দন্দ্ব-বিবাদ ভুলে যাওয়ার একাত্মতায় মগ্ন সবাই আনন্দে আপ্লুতে আত্মহারার প্রেক্ষিতে সব অবস্থাতেই শুক্রিয়া, আলহামদুলিল্লাহ! অল্প বয়সের তরুণ আমি। ১৯৭১ এর বর্বরোচিত, নিপীড়িত, গণতন্ত্র হরিত, অসহায় বাঙালির করুণ কথাগুলো, গল্পে শোনা বা ইতিহাস পরে জানা শত অসহ্যের পরেও বাঙলি, ইতিপূর্বে বহু দিন যাবৎ মফিজের মতো, মুখ বুঁজে সহ্যই করে যাচ্ছিলো সব। কিন্তু যখনই শেষ সম্বল মায়ের ভাষা বদলের কথা বলা হলো, ঠিক পর মুহূর্তেই শুরু হলো গণতন্ত্রিক সব অধিকার ফিরে পাওয়ার দীর্ঘ ৯ (নয়) মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী এক মহাপ্রলয়ের সাড়ে সাত কোটি জনতার মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি উপাধির চমক, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতার আত্মত্যাগী জনক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে, রক্তমাখা কত তাজা-তরুণ, বৃদ্ধ, নারী দুধের শিশুটিরও প্রাণের বিনিময়ে তবেই ফিরে পাওয়া গণতন্ত্র। আর সেই থেকে শুরু করে এই অবধি, সব সময়, সব অবস্থাতেই দেশের সত্য প্রেক্ষাপট, সকল জনসাধারণের আত্মবিবেকের শ্রেষ্ঠ আদালতে, সব যুক্তি প্রমাণের প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করলেই পরিস্কার বেরিয়ে আসে, নির্দলীয় একটাই রায়, আওয়ামী লীগই গণতান্ত্রিক।
মো. আব্দুল্লাহ (টফি) - গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর বাড়াইকান্দি (চরপাড়া) গ্রামে- পিতা মো. খলিলুর রহমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। কবির অত্যন্ত মেধাশক্তি রয়েছে- সেই মেধা শক্তির বিকাশ ঘটিয়েছেন এ কাব্যগ্রন্থটিতে- খুব সতর্কতার সঙ্গে। আশা করা যায় গ্রন্থটি পাঠক হৃদয়ে নাড়া দিবে, এবং আলোচিত ও সমালোচিত হবে। কবি সকলের দোয়াপ্রার্থী।