ইলমি ও আমলি দিক থেকে আমরা যে কতটা দুর্বল, এ বিষয়টা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধিতে আসে যখন সালাফের বাণী ও ঘটনাবলি নিয়ে লিখিত কোনো গ্রন্থ অধ্যয়নের সুযোগ হয়। দ্বীনের পথে তাদের তুলনায় নিজ অবস্থানের কথা চিন্তা করে তখন জবান থেকে উচ্চারিত হয় আফসোস-ধ্বনি। এ আফসোস এ জন্য যে, জীবনের এতটা বছর কেটে গেল, এখনো সালাফের মতো দ্বীনি মেজাজ ধারণ করে নিজের জীবন সাজানো হয়নি! দ্বীন পালনে তাদের একনিষ্ঠতা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন ও তদনুযায়ী আমল, সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা, আল্লাহভীতি, আল্লাহর ওপর ভরসা, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, হালাল ভক্ষণ ও হারাম বর্জন, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ, আল্লাহর প্রতি সুধারণা, উত্তম চরিত্র, ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও সংশ্রব শিষ্টাচার... ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের তুলনা শুধু তারাই। তাদের ইলমি ও আমলি অবস্থার সাথে আমাদের তুলনাও যে বড্ড বেমানান! অবশ্য তাদের জীবনাচার ও ঘটনাবলি পড়ে যে আমরা নিজেদের দুর্বলতাটুকু উপলব্ধি করতে পারছি, তাদের মতো করে দ্বীনের পথে চলার আগ্রহ পাচ্ছি, এটাই আমাদের জন্য উপকার হাসিলের এক বিশাল খোরাক ও প্রাপ্তি। বস্তুত, সালাফের জীবনাচার ও ঘটনাবলি নিয়ে লিখিত প্রতিটি গ্রন্থ অধ্যয়নের বড়ো শিক্ষা এটা যে, দ্বীন পালনে তাদের অবস্থার কথা জানার দ্বারা নিজেদের নিয়ে চিন্তার খোরাক পাওয়া যায়। লাভ করা যায় নিজেদের আমলকে সুন্দর করার উত্তম উপদেশাবলি। প্রিয় পাঠক, বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সালাফের বাণী ও ঘটনাবলি-সমৃদ্ধ এমনই নানান উত্তম উপদেশে সাজানো চমৎকার একটি সংকলন।