"মনমঞ্জিল" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: একটি যৌথ পরিবার। বিধবা মা পরিবারের মধ্যমণি। একক পরিবারের দোর্দণ্ড প্রতাপের মুখেও মায়ের অপার ভালােবাসা আর নেতৃত্বের গুণে ঢাকা শহরের পশ্চিম রাজাবাজারে এই যৌথ পরিবারটি টিকে আছে। পরিবারটি যে বাড়িতে থাকে তার নাম মনমঞ্জিল। সকাল, সন্ধ্যা, রাত্রি একটা নিয়মে চলে পরিবারটির কার্যক্রম। পরিবারের প্রধান কত্বী মা— সংসার পরিচালনায় অত্যন্ত দক্ষ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রচণ্ড আত্মপ্রত্যয়ী মহিলা। কিন্তু তিনি একটি ঘরে থাকেন একা। ঘুমােন স্বামীর কফিনে। ছােট মেয়ে অনেকটা মায়ের মতােই রহস্যময়ী। সত্য ঘটনা কখনই চেপে রাখতে পারে না সে! এজন্য পরিবারটিকে প্রয়শই অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলে সে! পরিবারের ৪ ছেলের মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট! পরিবারটিতে দেখা দেয় পরিবর্তন। বারবার খােলস বদলায় মনমঞ্জিল। মায়ের সেটা পছন্দ হয়। অতীতকালে ছেলেমেয়েদেরকে এক খাটের মধ্যে ঘুম পাড়িয়েছিলেন তিনি। আজও তার ইচ্ছা সবাই এক সাথে থাকুক। সমস্যা সংকটে পরস্পরের পাশে দাঁড়াক। কিন্তু সময় যেন তাকে পরিহাস করে। একদিন মা দাঁড়ান অপরাধীর কাঠগড়ায়। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংকটে পড়ে যায় মনমঞ্জিল!
জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২; কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে, নানার বাড়িতে। শিক পিতার কর্মস্থল সৈয়দপুর শহরের সাবর্ডিনেট কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। উলিপুরে দুর্গাপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাসের পর ১৯৮০ সালে ঢাকায় আগমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্সে ভর্তির পর থেকে সৃজনশীল সাহিত্য চর্চা, নাট্য সংগঠনে নেতৃত্ব ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে উৎসাহ পেতে থাকেন। প্রথম উপন্যাস ‘শূন্যে বসবাস’ ৮৮ সালের একুশে বইমেলায় তুমুল আলোড়ন তোলে। দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিকতা জীবন শুরু। সেখানে দীর্ঘ ১৯ বছর কাজ করার পর ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর বিনোদন পাক্ষিক আনন্দ আলোর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্ছিত্র ‘ঠিকানা’ নির্মাণের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।