একটি সুসংগঠিত ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী একটি স্বাধীন দেশের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বীর সদস্যগণ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সহিত লড়াই করিয়া দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করিয়াছেন তাহা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ইহা ছাড়া ইদানীং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কতিপয় লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের তথ্য, বড় আকারের চোরাচালান ও ব্যাংক ডাকাতির তথ্য উদ্ঘাটন করিয়া পুলিশ সদস্যগণ অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়াছেন। এই দক্ষতা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে কাজে লাগাইয়া সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করিতে পারিলে অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে অত্যন্ত সহায়ক হইবে। আশা করি পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আন্তরিকতা ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করিয়া দেশের জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জনে সক্ষম হইবেন। পুলিশ বাহিনীতে কাজ করিতে গেলে পুলিশ আইন ১৮৬১, পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮, দণ্ডবিধি ১৮৬০, সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২, অন্যান্য ফৌজদারি আইন, বিভিন্ন মহানগরীর পুলিশের জন্য প্রণীত আইন ও বিশেষ বিশেষ আইন জানা পুলিশ সদস্যদের জন্য অতীব প্রয়োজন। সেকারণে বাংলাদেশে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া বইখানায় বহুসংখ্যক আইন সন্নিবেশিত করা হইয়াছে। পূর্বের ন্যায় বইখানা বাংলাদেশের পুলিশ সদস্য এবং আইন পাঠে আগ্রহী অন্যান্যদের উপকারে আসিলে আমার শ্রম বিফলে যায় নাই বলিয়া আমি মনে করিব।
মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম-এর জন্ম কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি (২০০৯)। কর্মজীবনের শুরুতে কিছুকাল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বে। নিয়ােজিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সােসাইটি কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত জাতীয় কোষগ্রন্থ বাংলাপিডিয়ার সহকারী সম্পাদক। বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন পাঁচ বছর। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ও সম্পাদিত বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান-এর অন্যতম সংকলক এবং সমন্বয়কারী। বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলাের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা দশ । সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্য ও দর্শনমূলক ভাবনা গ্রন্থগুলাের বিষয়। তার এক উল্লেখযােগ্য মৌলিক কাজ—অক্ষয়কুমার দত্ত ও উনিশ শতকের বাঙলা (২০০৯)।