"বিশ্বশিল্পের রূপরেখা" বই এর ফ্ল্যাপের লেখা বাঙালি মাত্রই খাদ্যরসিক। তাই বোধহয় বাংলার জেলায় জেলায় রকমারি সুখাদ্যের সম্ভার চোখে পড়ে। বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, জনাইয়ের মনোহরা, মোল্লাচকের দই, চন্দননগরের জলভরা তালশাঁস সন্দেশ, কৃষ্ণনগরের সরভাজা-সরপুরিয়া, জয়নগরের মোয়া ও আরও কত কী! পাঠকরা অনেকে নিশ্চয়ই এসব সুখাদ্য চেখে দেখেছেন। কিন্তু এদের উৎপত্তি নিয়ে মাথা ঘামান ক'জন? ইতিমধ্যেই এইসব খাবারদাবারের কিছু কিছু বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে। সেই ইতিহাসের টানেই লেখক ‘সুখী গৃহকোণ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে লিখেছিলেন “স্বাদ-আহ্লাদ’। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় স্থানীয় সামাজিক রীতিনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে এইসব খাবারের উৎপত্তির নেপথ্যে। অত্যন্ত সরস ভঙ্গিমায় বাংলার বিখ্যাত ও অখ্যাত নানা খাবারদাবারের ইতিহাস-ভুগোল বর্ণনা করা হয়েছে এই লেখায়। ভজাদা হলেন এক সবজান্তা গুলবাজ মানুষ । যিনি খবর রাখেন অনেক কিছুর। তাঁর তিন সঙ্গী; মনোজ, গৌরাঙ্গ আর লেখক স্বয়ং। আড্ডা আর গল্পের ছলে এই চারজনের, বিশেষত ভজাদার মুখ দিয়ে লেখক শুনিয়েছেন বাংলার খাদ্য সংস্কৃতির নেপথ্য কাহিনি। আশা করা যায় পাঠকের রসনা তৃপ্ত হবে।