আমার জন্মস্থান কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা। নদীর খেয়ালে জন্ম নেয়া চর। জলে পূর্ণ হয় চর, তখন বর্ষা। পলির প্রলেপ পড়ে জমিতে। উর্বরতা মাটির কোণে কোণে। তারপর সময়ের বিবর্তন। শৈশবে দেখা মেঘনার সাথে বর্তমান মেঘনার তফাৎ বিস্তর। এখন বৈদ্যুতিক আলোতে মেঘনার চর শহরতলি। কিন্তু চরের সামাজিকতা ছিল সরল, উর্বর। আঁধারে চর ছিল অসম্ভব সুন্দর। খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে ছিল সমৃদ্ধ। হরেক রকমের গ্রাম্য খেলা ছিল! রাজন্য চরিত্রের মাধ্যমে শৈশবে দেখা সেই চরকে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। রানি, পরি, বাসন্তী শৈশবের সাথি। শহর বানু, গোলাম রাজন্যের জন্মদাতা। কৃষক-কৃষাণীর জীবনালেখ্য। মেঘনায় বড় হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অনেকেই আজ সফল। তবে মেঘনায় থাকেনি তারা। দেশকে গড়েছে। মেঘনাকে গড়েনি! আমার মনে থাকা সুপ্ত বাসনা তাই রাজন্য চরিত্রে রোপণ করেছি। এই উপন্যাসটির কাহিনি একান্তই আমার শৈশবের। চরিত্রের নাম কাল্পনিক হলেও বিষয়গুলো সত্য। আরোপিত কিছু নেই। উপন্যাসটি লিখেছি সাকিব মিয়াজির অনুরোধে। ওর প্রস্তাব ছিল ‘মেঘনার ছেলে’! কিন্তু আমি শৈশবে পোলা শুনেই বড় হয়েছি। তাই উপন্যাসটির নাম ‘মেঘনার পোলা’। উপন্যাসটি পড়ে কারোর ভালো লাগলে পরিশ্রম সার্থক হবে।