একুশ শতকে এসে আমি জীবিকা নিয়ে যতটা না ব্যস্ত, জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে ঠিক ততটাই উদাসীন। অথচ আমার জীবন ক্ষণস্থায়ী। জীবিকার পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় আস্ত জীবনটাই ফুরিয়ে যায়। কিন্তু ভেবে দেখা হয় না, আমি কি সঠিক পথে আছি নাকি এ জীবনে যা কিছু করছি সবই ভুল পথে করছি। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন সত্তর থেকে তিয়াত্তরের আশেপাশে। এর মধ্যে শৈশবের প্রথম দশ থেকে বারো বছর জীবনকে না বুঝেই কেটে যায়। এরপর বাড়ে লেখাপড়ার চাপ, জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার সংগ্রাম। তারপর চাকরি বা ব্যবসা, বিয়ে, সন্তান, নাতি-পুতি; একসময় জীবন থেকে অবসর। জীবনকাল স্বল্প হলেও এইসময়ে আমি অনেক কাজ করি। কিন্তু এই কাজগুলো করতে গিয়ে আমি অনেক ভুল করি। কিছু ভুল ইচ্ছাকৃত, কিছু অনিচ্ছাকৃত। অথচ জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমার যদি খুব পরিষ্কার ধারণা থাকতো, তবে হয়তো ভুলগুলো এড়ানো যেত। জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে একটু চিন্তা করার জন্য দৈনন্দিন জীবন ও জীবিকার খুব জরুরি কিছু বিষয় এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। একুশ শতকের প্রেক্ষাপটে বিষয়গুলো অনেক বেশী প্রাসঙ্গিক। সকল শ্রেণির পাঠকদের বুঝার সুবিধার জন্য খুব সহজ-সরল ভাষায় এবং সংক্ষেপে মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে। বইটির আকার ছোট। তাই বিক্ষিপ্ত ভাবে না পড়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একাধারে বইটি পড়লে জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। আশা করা যায় বইটি পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।