নিজের গল্পকে একটি ভিন্ন ভাষায় দেখার অনুভূতি অনেক আনন্দদায়ক। এই কাজের জন্য আমি হাইকেল হাশমীর কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি আমার কিছু গল্প বাংলা ভাষায় রূপ দিয়েছেন। জানি না গল্পগুলো কেমন করে নিজে নিজে ভিনদেশে যাত্রার সুযোগ করে নিল। একদিন হঠাৎ আমি হাইকেল হাশমীর বার্তা পেলাম যে উনি আমার অনেকগুলো গল্পের অনুবাদ করেছেন, এখন এই গল্পগুলো নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করতে চান। পাকিস্তানের একটি দূর গ্রামে বসে থাকা একজন লেখকের জন্য এটি আনন্দময় বিস্ময় ছাড়া আর কী হতে পারে? নিজের গল্পগুলো সম্বন্ধে আমি বলতে পারি যে আমি গল্প লিখি না বরং আমি গল্পের ভেতরে বাস করি। আমি গল্পে বেঁচে আছি। এটাই আমার জীবন। আসলে আমি চিৎকার করতে চেয়েছিলাম আর গল্পের চেয়ে ভালো কোনো মাধ্যম খুঁজে পেলাম না। গল্প আমার অভিব্যক্তি প্রকাশের উপায়। গল্প লেখার জন্য আমি কোনো বিশেষ আয়োজন করি না। 'স্মৃতির খোঁজে' গল্পটি আমি একটি ট্যাক্সিতে বসে লিখেছি। কয়েক বছর আগে আমার অফিস থেকে বাসায় যেতে সময় লাগত প্রায় এক ঘণ্টা আর আমি এই সারাটি সময় শুধুই গল্প বুনতাম। আমার প্রথম গল্পের বই 'ভাঙা রাস্তা'র মুখবন্ধে লিখেছিলাম, 'আমি গল্পের বইতে মুখবন্ধকে একটি অতিরিক্ত জিনিস মনে করি; আমার যা বলার তা আমি আমার গল্পতেই বলে দেই। এই গল্পগুলো আমাকে বাংলাভাষী পাঠকদের সঙ্গে প্রথম পরিচয় করাবে তাই আমি এই বইয়ের প্রকাশক এবং অনুবাদককে ধন্যবাদ জানাই।