লেখার মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে পৌঁছে যাওয়া লেখকের কাজ। তারপর পাঠক সেই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে কী করবে তা পাঠকের দায়িত্ব। পাঠকের মনে নাড়া দিতে এবং হৃদয়ে পৌঁছাতে হলে লেখায় বস্তুনিষ্ঠ বিষয় থাকতে হয়। আমার গল্পগুলো ঠিক তেমনি। এই গল্পগুলো হঠাৎ করে আবেগের বসে লেখা হয়নি। ঘটনার বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গল্পগুলো লেখা হয়েছে। গল্পের মাধ্যমে আমি সমাজকে তুলে ধরেছি। এই গল্পগ্রন্থের গল্পগুলো পড়লে পাঠক চলে যাবে গ্রামীণ ঐতিহ্যের আবহে, পাবে শহুরে জীবনের দমকা বাতাস। আমি গল্পে সত্য ও সময়কে ধারণ করেছি। আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সমস্যা, অসঙ্গতি, স্বার্থপরতা, ব্যক্তি জেদের কুফল, মেধা পাচারের পরিণাম ইত্যাদি বিষয়গুলো আমার গল্পের উপজীব্য। বৃদ্ধ বয়সে একজন মানুষ পরিবারের সদস্য ছাড়া কতটা অসহায় হয়ে জীবন যাপন করে, ব্যক্তি জেদের কারণে স্বামী-স্ত্রী সিপারেশন হওয়ার ফলে আদরের সন্তান হয়ে পড়ে বাসি খবরের কাগজের মতো, কৈশোরের ভালোলাগা-ভালোবাসা, পাতি নেতার চামচাদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহুতি দেয় গরীব ঘরের বধূ, অসুস্থ মানুষ মৃত্যুর নিশ্চিত খবর জেনেও বাঁচার আকুতি, স্বার্থপরতার মোহে দুর্নীতিতে জড়িয়ে যায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মৃত্যুর জন্যেই জন্ম হওয়া আর মৃত্যু কত যে নিকট তা বলা যায় না। ‘জোছনার আলোছায়া’ গল্প গন্থে এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।