“আধুনিক পদ্ধতিতে ব্রয়লার মুরগী পালন ও চিকিৎসা ও মাংস বৃদ্ধির উপায়” বইয়ের কিছু কথা বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ লোক দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। আমাদের দেশে মুরগী পালন করা হয় দুটি উদ্দেশ্যে। প্রথমটি হল ডিমের জন্য ও দ্বিতীয়টি হল মাংসের জন্য। যতদিন যাচ্ছে মুরগীর মাংসের চাহিদা তত বেড়ে যাচ্ছে। তার প্রধান কারণ হল মুরগীর মাংসের দামটা মানুষের হাতের নাগালের ভিতর। এ ছাড়াও রোগীসহ সব বয়সের মানুষের মুরগীর মাংস ক্ষেতে কোন বাধা নেই। কারণ মুরগীর মাংস চর্বি বর্জিত এবং সহজে হজম হয়। কাজেই ব্ৰয়লার মুরগী পালন করলে বিক্রির বাজার যেমন নিশ্চিত তেমনি লোকসান খাবার কোন আশংকা থাকে না। এই বইটিতে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্ৰয়লার মুরগী পালন সম্পর্কে, চিকিৎসা সম্পর্কে ও ব্ৰয়লার মুরগীর মাংস বৃদ্ধির করার প্রয়োজনীয় তথ্যাদি লিপিবদ্ধ হয়েছে। উক্ত বইটি পড়ে সঠিকভাবে জ্ঞান লাভ করে একটি পোলট্রি ফার্ম গড়ে তুলে লাভবান হওয়া সম্ভব। বইটিতে মোট ৬ টি অধ্যায় রয়েছে। যথা: * পোলট্রি শিল্পের গোড়ার কথা। * ব্ৰয়লার মুরগীর পালন ব্যবস্থাপনা। * ব্ৰয়লার মুরগীর পরিচর্য । * ব্ৰয়লার মুরগীর খাদ্য ও পুষ্টি । * ব্ৰয়লার মুরগীর বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার। * ব্ৰয়লার মুরগীর মাংস বৃদ্ধির উপায়। এখানে উল্লেখ্য যে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্ৰয়লার মুরগী পালন করে কিভাবে আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করা যাবে সে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ বইটি লেখায় যাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এম.এ.সাত্তার (অধ্যাপক কৃষি অর্থনীতি বিভাগ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও পশু সম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন তথ্য, ড. মো: আনিছুর রহমান সহ বিভিন্ন লেখক ও পত্র পত্রিকার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য লিখতে যথেষ্ঠ সহায়তা করেছে। তাই আমি তাদের কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে পাখির ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের বিস্তারিত তথ্যের জন্য এবনে গোলাম সামাদ যার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। - লেখক ড. মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী
“আধুনিক পদ্ধতিতে ব্রয়লার মুরগী পালন ও চিকিৎসা ও মাংস বৃদ্ধির উপায়” বইয়ের বিষয়সূচি: * প্রথম অধ্যায় : পোলট্রি শিল্পের গোড়ার কথা * দ্বিতীয় অধ্যায় : ব্রয়লার মুরগীর পালন ব্যবস্থাপনা * তৃতীয় অধ্যায় : পরিচর্যা * চতুর্থ অধ্যায় : ব্রয়লার মুরগীর খাদ্য ও পুষ্টি * পঞ্চম অধ্যায় : ব্রয়লার মুরগীর বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার * ষষ্ঠ অধ্যায় : ব্রয়লার মুরগীর মাংস বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায়
Title
আধুনিক পদ্ধতিতে ব্রয়লার মুরগী পালন ও চিকিৎসা ও মাংস বৃদ্ধির উপায়
ড. মোঃ আখতার হােসেন চৌধুরী ১৯৬২ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন সুবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক কৃষি (সম্মান) ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণীতে পঞ্চম, ১৯৮৫সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি রসায়ন বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থান, ২০০০ সালে জাপানের হিরোসিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি এবং ২০০৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন | ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েল কৃষি রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তার চাকুরী জীবন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে একই বিভাগে সহকারী প্রফেসর এবং ২০০৩ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ করেন । বাংলাদেশের ফুল, ফল, সবজি ও মাছ চাষের গুণগত মান উন্নোয়নে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এম.এস পর্যায়ে তিনি প্রায় ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর এবং ২ জন পি.এইচ.ডি ছাত্রের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।