কারো নাম শুনলে উনার চেহারাটা মাথায় ভাসা নরমাল, কিন্তু এলেনা ফেরান্তের কেসে এই জিনিস হবে না, কারণ আজ পর্যন্ত উনি ‘এলেনা ফেরান্তে’ হয়া তেমন কারো সামনে আসেন নাই। নামটাও আসল না, কিন্তু মানুষ এই নামেই উনাকে ইটালির গ্রেটেস্ট রাইটারদের একজন হিসাবে চিনে। উনার জন্ম নেপলসের এক দর্জি পরিবারে। ক্লাসিকাল লিটারেচার নিয়া বেশ জানাশোনার জন্য ক্রিটিকরা ধইরা নিছেন উনি লিটারেচার নিয়া পড়াশোনা করছেন। ফেরান্তে উনার লেখার স্টাইলে এক ধরণের ট্রুথ ইউজ করেন, যেটারে উনি লিটারেরি ট্রুথ বলেন। উনার লেখা বেশ ডিটেইল্ড, অথেন্টিক ফিল করায়। ক্রিটিকরা উনার এই ট্রুথ ব্যাপারটা বেশ পছন্দ করেন, প্রেইজ করেন। মানুষের মনের জটিলতার ডিপ আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়া মানুষের সম্পর্কগুলা, প্রতিদিনের স্ট্রাগল আর আনন্দগুলা আনসেন্সর্ড অবস্থায় উনার লেখায় দেখা যায়। উনার চরিত্রগুলার কমপ্লেক্স সম্পর্ক আর সাইকোলজিকাল অবস্থা বেশ ইমোশনালি পাওয়ারফুল থাকে, বিশেষ কইরা নারীদের মধ্যের সম্পর্কগুলা এম্প্যাথি নিয়া বেশ অথেন্টিকভাবে দেখান। উনার কাজের মধ্যে ফেমিনিস্ট থিম, ফিমেল এক্সপেরিয়েন্স নিয়া আলাপও দেখা যায়। প্যাট্রিয়ার্কাল সোসাইটি নারীদের কেমনে মার্জিনালাইজ কইরা রাখছে, দমায়া রাখছে এই আলাপ উইঠা আসে। উনার কারেক্টাররা স্ট্রাগল করে, নিজেদের জীবন নিজের কন্ট্রোলে নেয়, দুনিয়ায় নিজের জায়গা বের কইরা নেয়। আবার উনার লেখা মোরালওয়ালা বা উপদেশমার্কাও না। উনার প্রত্যেক কারেক্টার একেকজন রিয়েল মানুষের মত, প্রত্যেকের খারাপ দিক আছে, চাওয়াপাওয়া আছে, কন্ট্রাডিকশন আছে। উনার প্রথম নভেল ট্রাবলিং লাভ ১৯৯২ সালে পাবলিশড হইছিল। নিয়াপলিটান নভেলস বের হওয়ার পর উনি ইন্টারন্যাশনালি পরিচিতি পান। এই সিরিজের চারটা নভেল (মাই ব্রিলিয়ান্ট ফ্রেন্ড, দা স্টোরি অফ আ নিউ নেম, দোজ হু লিভ এন্ড দোজ হু স্টে, আর দা স্টোরি অফ দা লস্ট চাইল্ড) এলেনা আর লিলা নামের দুইজনকে নিয়া লিখা, যারা ৫০ এর দশকে নেপলসের একটা গরিব পাড়ায় বড় হইতেছিল। নেপলসের একটা কালারফুল, ক্লিয়ার পোর্ট্রেয়াল, ফিমেল ফ্রেন্ডশিপ, ৫০ এর দশক থেকে বর্তমান ইটালির সোশাল আর পলিটিকাল চেঞ্জগুলার একটা স্ট্রং বর্ণনার জন্য নিয়াপলিটান নভেলগুলার ভালো নাম হইছে। এই নভেলগুলা চল্লিশটারও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হইছে, বিক্রি হইছে লাখ-লাখ কপি।