ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষের জন্ম হয় যার সঙ্গে কারো তুলনা চলে না।সৃষ্টিকর্তাই তাঁদের তুল্য করে সৃষ্টি করেন না।তেমনি একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।একটি দিক থেকে তাঁর তুলনা তিনি নিজেই।দেশের আইন পরপর তিনবার পরিবর্তন হয়েছে একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্যে।এই দিক থেকে তিনি পৃথিবীতে অদ্বিতীয় অতুলনীয়। প্রথম পরিবর্তন করা হয় ১৯৬৭ সালে।আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝোলানোর ষড়যন্ত্র পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান পেনাল কোডের ৩১ ধারা সংশোধন করে বন্ধবন্ধুর প্রহসনমূলক বিচারের জন্য তৈরি করে “বিশেষ ট্রাইবন্যাল।” ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য জারী করা হয় কুখ্যাত ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ।১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের জন্য ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয় সংসদে আইন পাশ করে।এই একটি মানুষের জন্যে দেশের আইন তিন তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে পৃথিবীতে সে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্যেই। “বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা” একটি ঐতিহাসিক দলিল।ইতিহাসের লেখক পাঠক এবং ছাত্রদের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম, এই চিন্তা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সকল বিষয় এক গ্রন্থে গ্রন্থীত করে দিলাম।এতে রয়েছে নিম্ন আদালতের আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জসীটসহ যুক্তিতর্ক, সাওয়াল জবাব এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকার্যক্রম।দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিগণের ৪১২ পৃষ্ঠার সুবৃহৎ রায়টি হুবহু বঙ্গানুবাদ এই গ্রন্থে দেয়া সম্ভব হলো না, ভবিষ্যতে নায়টির বাংলা অনুবাদ গ্রন্থবদ্ধ করার ইচ্ছে রইল।আশা করি বর্তমান গ্রন্থটি ইতিহাসবিদ, পাঠক ও ছাত্রদের উপকারে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস। সূচিপত্র *হত্যা মামলার চার্জশিট *বাদী পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য *আসামী পক্ষের জেরা *বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক *বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় *সুপ্রিম কোর্টের (আপিল বিভাগ) যুক্তিতর্ক ও রায়
সাহিদা বেগম ১৯৫৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বিনারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা- মরহুম আলহাজ্ব আনােয়ার আলী ভুঞা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। মা আলহাজ্ব হাসনা হেনা বেগম গৃহিণী। গবেষকপ্রাবন্ধিক ও আইনজীবী সাহিদা বেগম ১৯৭০ সালে গাইবান্ধা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭৩ সালে সিদ্ধেশ্বরী মহিলা মহাবিদ্যালয় ঢাকা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান (বাংলা সাহিত্য) ১৯৭৫ এবং ১৯৭৬ সালে লাভ করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। ১৯৮৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন এন এন বি ডিগ্রি। কর্মজীবন : ১৯৮৫ সালে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ঢাকা বারে যােগ দিয়ে ১৯৮৮ সালে যােগ দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারে । অদ্যাবধি আইন পেশায় নিয়ােজিত আছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সহকারী এটর্নী জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বদেশ, ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধ সাহিদা বেগমের রচনার মূল বিষয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তাঁর রচনার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ১৬টি গ্রন্থসহ ৬৯টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম গ্রন্থ যুদ্ধে যুদ্ধে নয় মাস ১৯৮৪ সালে বছরব্যাপী ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।