একজন নারী তার সংগ্রামমুখর জীবনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন নানা চড়াই উত্তাই পেরিয়ে। সামনে সামান্য পথ বাকি। অনন্তের ওপার থেকে কখন ডাক আসে এখন তার সেই অপেক্ষা। একাকীত্বের অন্ধকার চিরে পেছন ফিরে দেখছেন তার সাজানো সংসার, নিজ হাতে গড়া 'অমরাবতী' নামের বাড়ি। যে বাড়িতে তার অর্ধশতক বছরের অধিক সময় অবস্থান। তাকে ঘিরেই বইটির সমস্ত বয়ান। স্মৃতির জানালায় উঁকি দিয়ে দেখছেন জীবনের নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার আদ্যোপান্ত। 'অমরাবতীর অন্তকথা' গ্রন্থে বাস্তব উপলব্ধিজাত অন্তরের গোপন ভাষাকে মলাটবদ্ধ করে রেখে যাচ্ছেন উত্তর প্রজন্মের জন্য। গ্রন্থটি মন্থন করে তারা সুসময়কে সুন্দর করে যাপনের সাথে পাবে দুঃসময়কে অতিক্রমের অমিত শক্তি। গ্রন্থটির পরতে পরতে রয়েছে প্রেমের পরাগ মাখা রঙিন জীবনের রোমাঞ্চকর অনুভব, বিরহের যন্ত্রণায় মুষড়ে পড়ার করুণ হাহাকার, প্রিয়জন হারিয়ে একাকীত্বের দুঃসহ অন্ধকার এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের বিনোদন ও পরিব্রাজকীয় অভিজ্ঞতার শিল্পীত সমাচার। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থটি পড়ে সাহিত্যের রসাস্বাদন থেকে পাঠক বঞ্চিত হবেন না বলেই আমি বিশ্বাস করি। লেখকের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা এবং শুভ কামনার সাথে তার সুস্বাস্থ্যে দীর্ঘায়ু কামনা করছি।