ভূমিকা বর্তমানে আমাদের সরকার স্বণির্ভর কর্মসূচি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। কৃষিভিত্তিক স্বনির্ভর প্রকল্প তার অন্যতম।
অনেক আগে থেকেই পশুপালন মানুষের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সাধারণভাবে গ্রামের মানুষেরা যেভাবে পশুপালন করেন, তার সামান্য পরিবর্তন করলেই কিছুটা বৈজ্ঞানিক প্রথা অবলম্বন করা হয়। বসতবাড়ির আশেপাশে ছোটো জায়গাতে ছাগল চাষ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের বেকার ছেলেরা উপার্জন করতে পারে।
এই বইটি হচ্ছে জীবিকা ও পেশাবিষয়ক। বর্তমানে চাকুরির সুযোগ সীমিত হওয়ায় বেকার যুবক-যুবতীরাও অনেকেই এটিকে স্বনির্ভর পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। এর জন্য দরকার উন্নত জাতের ছাগল, সুষম খাদ্য ও বিজ্ঞানসম্মত পালন পদ্ধতির অনুসরণ। সেই কথা মনে রেখেই এই পুস্তক রচনায় ব্রতী হয়েছি। যাতে করে সমাজের দরিদ্র, নিপীড়িত ও বেকার ভাইবোনেরা কিছুটা উপকৃত হবে।
পুস্তকটি রচনার জন্য যাদের পরামর্শ পেয়েছি তাদের সকলের সহযোগীতাই আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি এবং পরবর্তীকালে বইটিকে মনোগ্রাহী ও উপযোগী করে তোলার জন্য পাঠকদের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শের আশা রাখছি।
ড. মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী সূচিপত্র * প্রথম অধ্যায় : ছাগল পালনের প্রাথমিক দিক * দ্বিতীয় অধ্যায় : ছাগল পালন পদ্ধতি * তৃতীয় অধ্যায়: ছাগলের বিভিন্ন প্রজাতি( different breeds goat) * চতুর্থ অধ্যায় : ভালো ছাগীর লক্ষণ * পঞ্চম অধ্যায় : প্রজনন ও ছাগ শিশুর যত্ন ও পরিচর্যা * ষষ্ঠ অধ্যায়: ছাগলের খাদ্য ( Feeding of Goats) * সপ্তম অধ্যায়: পশু চারণ ভূমি ( Pastures) * অষ্টম অধ্যায়: ছাগলের বাসস্থান(Housing if Gots) * নবম অধ্যায়: খরগোশ পালন পদ্ধতি * দশম অধ্যায় : পালনের উপযোগী বিভিন্ন শ্রেণীর খরগোশ * একাদশ অধ্যায় : খরগোশের বাসস্থান ও পরিবেশ * দ্বাদশ অধ্যায়: ছাগলের রোগ ও তার চিকিৎসা
ড. মোঃ আখতার হােসেন চৌধুরী ১৯৬২ সালে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন সুবিন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক কৃষি (সম্মান) ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণীতে পঞ্চম, ১৯৮৫সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি রসায়ন বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থান, ২০০০ সালে জাপানের হিরোসিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি এবং ২০০৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন | ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েল কৃষি রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে তার চাকুরী জীবন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে একই বিভাগে সহকারী প্রফেসর এবং ২০০৩ সালে প্রফেসর পদে পদোন্নতি লাভ করেন । বাংলাদেশের ফুল, ফল, সবজি ও মাছ চাষের গুণগত মান উন্নোয়নে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এম.এস পর্যায়ে তিনি প্রায় ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর এবং ২ জন পি.এইচ.ডি ছাত্রের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।