বনাঞ্চল, নদী ও জলাভ‚মি, সমভ‚মি ও পাহাড়, উপক‚ল অঞ্চল ও সাগর-মহাসাগর এবং মানুষসহ জীববৈচিত্র্যকে ধারণ করে থাকা এক প্রীতিকর ও বিস্ময়কর অস্তিত্বের নাম প্রকৃতি। অবিশ্বাস্যভাবে বায়ুমণ্ডল, মাটি ও বনভ‚মি, নদী, সাগর-মহাসাগর মানুষসহ সবধরনের জীবকে বেঁচে থাকার জন্য বায়ু, খাদ্য ও পানি, পরিধেয় সরবরাহ করে আসছে এবং বিস্ময়করভাবে সবকিছুই বিনামূল্যে। আদি থেকে বিভিন্ন ভ‚প্রাকৃতিক পরিবেশে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছে পৃথিবীর নানা প্রান্তেÑ নিরাপদ আবাসস্থল, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে নিরাপত্তা, পানি ও খাদ্যের সহজলভ্যতা, সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায়। জীববৈচিত্র্যের সাধারণ চাহিদা ছাড়াও মানুষ তার অন্যান্য চাহিদা ও প্রয়োজন মেটায় প্রকৃতি থেকে। মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে তার স্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য। কারণ সমাজ, অর্থনীতি অর্থাৎ মানুষের টিকে থাকায় সব কিছুই দেয় প্রকৃতি। ভ‚তত্ত¡ বা ভ‚বিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের এক শাখা যা পৃথিবী নামের এ গ্রহের উৎপত্তি, গঠন, উপাদান ও জীবনসহ ইতিহাস এবং প্রকৃতি অর্থাৎ পুরো পৃথিবী নিয়ে পর্যালোচনা করে। পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম থেকেই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াসমূহ যা নিরলসভাবে ভ‚প্রকৃতিতে পরিবর্তন আনছে ক্ষয়, পরিবহন ও সঞ্চয়ন প্রক্রিয়ায় এবং এসবে অবদান রাখছে তাপ, চাপ, অনুজীব, ভ‚গাঠনিক প্রক্রিয়া। সবকিছুই ঘটছে নানা মাধ্যম দ্বারা যেমন বায়ু, পানি, হিমবাহ ও সাগরের ঢেউ এবং ভৌত, রাসায়নিক ও যান্ত্রিকভাবে এমনকি জৈবিকভাবে; বর্তমানেও চলমান আছে। তবে অতীতে কখনও কখনও এসব প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটায় যেমন আকস্মিক অগ্নুৎপাতের ফলে পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মহাবিলুপ্তি ঘটেছে। যে তাপমাত্রায়, চাপে বা সার্বিক পরিবেশে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয় তার ছাপ রয়ে যায় শিলাস্তরে। এভাবেই ভ‚তত্ত¡ পৃথিবীর স্পন্দনকে অনুভব করতে পারে। প্রাথমিক ধারণায় মনে করা হয় ভ‚তত্ত¡ মানব সভ্যতাকে নানা মণিক-শিলা ও জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহ করে আসছে; মানুষের জীবনকে সুন্দর, আরামপ্রদ ও সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু ভ‚তত্তে¡র আওতা ব্যাপকভাবেও বহু শাখায় বিস্তৃত হয়েছে এবং এ গ্রহে মানুষের বসবাসকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় পানিসম্পদ, প্রকৌশল ভ‚তত্ত¡, নগর ও পরিবেশ ভ‚তত্ত¡, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি শাখাগুলোর মাধ্যমে ভ‚তত্ত¡ ব্যাপক অবদান রাখছে। যা হোক আদিতে মানুষ পৃথিবীর নানান প্রক্রিয়া ও জীববৈচিত্র্যের সাথে মানিয়ে নিয়ে বসবাস করেছে। কিন্তু মানব সভ্যতা বিকাশের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মানবতার এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সঙ্গের এ সম্পর্কে গভীর পরিবর্তন ঘটছে। যখন এসব উপাদানের কোনোটিতে পরিবর্তন আনা হয় তখন ক্রমান্বয়ে অন্যান্য উপাদানগুলোতে পরিবর্তন শুরু হয় যেমন জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র ছাড়াও পানি, মাটি, পরিবেশ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষও তা থেকে মুক্ত থাকতে পারে না। লক্ষ লক্ষ বছর আগেও মানুষ প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে কিন্তু তা সার্বিক পরিবেশে পরিবর্তন ঘটায়নিÑ বায়ুমণ্ডলে বা সমুদ্রের রাসায়নিক উপাদানে পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু অভ‚তপূর্ব পরিবর্তন ঘটতে শুরু করল শিল্পবিপ্লবের সময় থেকে। সাগরে সঞ্চিত পলিতে ও প্রবাল কংকালে পাওয়া গেল পারমাণবিক পতন যা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের সাগরের পরিবেশে সুস্পষ্ট পরিবর্তনকে প্রমাণ করে। কিন্তু ব্যাপক পরিবর্তনগুলো এলো জনসংখ্যায়, শিল্পায়নে, বিশ্বায়নেÑ মানুষ গত ১২ হাজার বছরে যে পরিমাণ জ্বালানি ব্যয় করেছে এখন তার চেয়ে বেশি করছে তার নিজের এক জীবনে। বিশ্বব্যাপী বেড়েছে প্লাস্টিকের ব্যবহার, কংক্রিটের ব্যবহার ও আচ্ছাদন, অ্যালুমোনিয়াম, ফ্লাই অ্যাশ, পারমাণবিক পতন সাথে রয়েছে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি। মানুষ ভ‚গর্ভের গভীরেও হানা দিয়েছেÑ যেমন খননক‚প, খনি ও পারমাণবিক বোমা যা এ গ্রহের ভ‚তাত্তি¡ক রেকর্ডে লক্ষ লক্ষ বছর টিকে থাকবে। এক তথ্যে বলা হয়েছে, এ গ্রহে তেল ক্ষেত্রে খননকৃত ক‚পের মোট গভীরতা প্রায় পাঁচ কোটি কিলোমিটার যা পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহের দূরত্বের প্রায় সমান। রাশিয়ার ১২ কিলোমিটার গভীর কোলা ক‚প পৃথিবীর গভীরতম ক‚প ও ভবিষ্যতে ভ‚ত্বকের আরও গভীরে ক‚প খননের পরিকল্পনা এবং চার থেকে ছয় কিলোমিটার গভীরের সমুদ্রের তলদেশ হতে বিরল খনিজ কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ ও নিকেল আহরণের কথা শোনা যাচ্ছে। যা হোক মানুষের কর্মকাণ্ড এ গ্রহের পলি ক্ষয় ও সঞ্চয়নের প্যাটার্ন বদলে ফেলছে, কার্বন চক্র ও বৈশ্বিক তাপমাত্রায় বিপর্যয় এনেছে, বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, সমুদ্র অমøীকরণ হচ্ছে। নগরায়ণকেন্দ্রিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলো আবাসস্থলের দ্রæত রূপান্তর, প্রতিবেশ ধ্বংস, উপাদান ও সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার ও দূষণ সৃষ্টি এবং কার্বন নিঃসরণের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত যা এ গ্রহকে হুমকিতে ফেলেছে। সাধারণভাবে ভ‚মি ব্যবহার ভ‚প্রকৃতি, ভ‚মির উচ্চতা, জলবায়ু ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু ভ‚মি ব্যবহার ও ভ‚মি আচ্ছাদনে দ্রæত পরিবর্তন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের অন্যান্য কার্যকলাপের কারণে ভ‚মিরূপে পরিবর্তন ঘটছে, ভ‚মি অধঃপতন ঘটছে যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া কোভিড-১৯ আবির্ভাবের ফলে উদীয়মান সংক্রামক রোগের সাথে ভ‚মি ব্যবহারের সম্পর্কের ব্যাপারটি গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যতে নৃতাত্তি¡ক ভ‚মি ব্যবহার পরিবর্তন যেমন বন উজাড়, নগরায়ণ, কৃষি তীব্রতা আরও বাড়বে, যা রোগ আবির্ভাবে ভ‚মিকা রাখবে। তদুপরি আগামীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নতুন নতুন রোগের আবির্ভাবের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। প্লাস্টিক দূষণ এখন এমন ভয়াবহ পর্যায়ে গিয়েছে যা ভ‚তাত্তি¡ক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে। যেখানে মুখ্য ভ‚মিকায় আছে মানুষ। অবক্ষয় প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে নানা পরিবেশে প্লাস্টিক দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারে। মেরিন পল্যুউশন বুলেটিনের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে ব্রাজিলের পারানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ‚তাত্তি¡ক গবেষণায় প্রত্যন্ত দ্বীপ ত্রিনদাদের আগ্নেয় শিলায় নীল-সবুজ এক নতুন শিলার অস্তিত্বের খবর পাওয়া গেছে। শিলা-প্লাস্টিক মিশে ভ‚তাত্তি¡ক প্রক্রিয়ায় এর উদ্ভব হয়েছে বলে তারা এ শিলার নাম দিয়েছেন ‘প্লাস্টিগেøামেরেটস’। তাদের মতে শিলাসদৃশ এ প্লাস্টিক ভ‚তাত্তি¡ক রেকর্ডে সংরক্ষিত হয়ে থাকবে। তদুপরি তারা হাওয়াই, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান প্রভৃতি জায়গায় ২০১৪ সাল থেকে এমন শিলা পাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেছেন। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বড় একটি বদ্বীপ যার আশি শতাংশ এলাকা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীবাহিত হলোসিন পলি, আট শতাংশ প্লেইসটোসিন যুগের ও অবশিষ্ট বারো শতাংশ টারসিয়ারি যুগের পাহাড়শ্রেণি দিয়ে গঠিত। সক্রিয় ভারতীয়, ইউরেশীয় ও বার্মিজ পাতের সংযোগস্থলে হওয়ায় ভ‚গঠন প্রক্রিয়া দ্বারা ভ‚মিকম্প ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ পলি পরিবহন, সঞ্চয়ন ও ক্ষয় নিয়ন্ত্রিত হয়। তদুপরি আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ন্যায্য ও অন্যায্য কর্মকাণ্ড দ্বারা ভ‚মিরূপে পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছি ফলে দ্রæত ভ‚মি আবরণ ও ভ‚মি ব্যবহারে পরিবর্তন আসছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত নগরায়ণ, কৃষির সম্প্রসারণ, শিল্পায়ন, অন্যান্য উন্নয়ন কাজ, পোল্ডারিং, চিংড়ি চাষ, ইট তৈরি, ভ‚পৃষ্ঠ খনি (নুড়ি, বালি, কয়লা ইত্যাদি), অস্থায়ী আশ্রয় নির্মাণ ইত্যাদি উলেখ্যযোগ্য কর্মকাণ্ড। তবে যৌক্তিক চাহিদা পূরণকল্পে উক্ত ন্যায্য বা প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ডগুলো বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নিতে হয়। কিন্তু শুধু নিজ স্বার্থে অবিবেচনাসুলভ কাজগুলো ভ‚প্রকৃতি, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে নানাভাবেÑ অস্থায়ী, দীর্ঘমেয়াদে ও স্থায়ীভাবে। তবে বাংলাদেশে ভ‚সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বন্যা, জলাবদ্ধতা, খরা, উপক‚ল এলাকায় জোয়ার-জলোচ্ছ¡াস, মাটির লবণাক্ততা, নদী তীর ক্ষয়, ভ‚মি অবক্ষয়, মৃত্তিকা ক্ষয়, মাটির উর্বরা শক্তির অবক্ষয়, মাটির উৎপাদনশীলতা নিম্নগামিতা, নদী-খালে পলির সঞ্চয়ন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই সতেরো কোটি মানুষের এ দেশে ভ‚সম্পদের টেকসই ব্যবহারে ও আমাদের নিরাপদ বসবাসে ভ‚তত্তে¡র প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
ড. এ কে এম খোরশেদ আলম জন্ম দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায়। দিনাজপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি ও রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যায় বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরে ১৯৮১ সালে যোগদান করে একই প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন। নেদারল্যান্ডের আইটিসি থেকে দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সাহায্যে ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও এমএসসি ডিগ্রিসহ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রশিক্ষণ নেন। বাংলাদেশের মতো নরম পলিতে নতুন ভূগঠন প্রক্রিয়ার চিহ্নসমূহ দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সাহায্যে শনাক্তকরণ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ভূতাত্ত্বিক মানচিত্রায়ন, খনিজ অনুসন্ধান, ভূগাঠনিক ও ভূমিকম্প এবং দূর অনুধাবন প্রযুক্তি প্রয়োগবিষয়ক গবেষণা; উপকূলীয় অঞ্চলে মানচিত্রায়ন, খনিজ অনুসন্ধান ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সিঙ্গাপুরের নানইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সাথে বাংলাদেশে ভূমিকম্প—সংক্রান্ত গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রিমোট সেনসিং ও জিআইএস বিষয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর গবেষণায় অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক হিসেবেও কাজ করেন। ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কাজে যুক্ত আছেন। কাজ করছেন দেশ—বিদেশের সাময়িকীর রিভিউয়ার ও সম্পাদনা বোর্ডে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশ নিতে নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপান, পাকিস্তান ও কাজাখস্তান ভ্রমণ করেছেন। আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে ৩৬টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ, জার্মানি থেকে বাংলাদেশে বেঙ্গল বেসিনের নব্য ভূগঠন বিষয়ে বই এবং ভূমিকম্প, ভূসম্পদ সম্ভাবনা ও ভূপ্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে তাঁর লেখা তিন বইয়ে তিনটি চ্যাপ্টার প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর স্ত্রী, দুই চিকিৎসক কন্যা ও দুই নাতি—নাতনি আছে।