ফ্ল্যাপে লিখা কথা জ্যাক লন্ডন (১৮৭৬-১৯১৬) শুধু যে বিশ্বের সর্বকালর অন্যতম শ্রেষ্ঠ অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর রূপকার তাই নন, তিনি নিজেও ছিলেন বিশ্বের অন্যতম এক শ্রেষ্ঠ দু:সাহসিক অভিযাত্রী। দারিদ্র্য পীড়িত বঞ্চিত আটপৌরে জীবনের লৌহশৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলার জন্য মাত্র সতের বছর বয়সে শিকারের জাহাজ ‘সোফিয়া সাফারল্যান্ড’ এ চাকরি নিয়ে জাপান গিয়েছিলেন তিনি। একদিকক্রমে সাত মাস থেকে শিকার ও শিকারীর আদিম সংগ্রামের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল টাইফুনের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাই উদ্দীপিত করেছিল তার কল্পনাকে।লেখক হবার বাসনা জন্ম হয়েছিল সানফ্রান্সিকোতে ফিরে আসার পরেই। জ্যাক লন্ডন গল্পের মাধ্যমে আমেরিকান সাহিত্যের অলস কল্পনার ক্লান্তিকর পরিবেশ নিয়ে এসেছিলেন অবিমিশ্র দুরন্ত জীবনে উত্তাপে ভরা বাণী, রূঢ় জীবনের লবনাক্ত স্বাদ, সীমাহীন দু:খ দুর্দশা, কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে বাধাবন্ধনহীন জয়ের পরমানন্দের মধুর অনুভূতি। বজ্রশোষিত,বিদ্যুৎ কিশায়িত মৌসুমী ঝড়ের মতো ভেঙ্গে ফেলেছিলেন আমেরিকান সাহিত্যক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতার বেষ্টনী। কিন্তু জ্যাক লন্ডনের আসল পরিচয় কুশলী ঔপন্যাসিক হিসেবে । তাঁর কাহিনী আমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সহজেই টেনে নিয়ে যায়। তার উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীরা আমাদের খুব কাছের মানুষ হয়ে ওঠে। আমরা তাদের সঙ্গে একত্নতা অনুভব করি। উপন্যাস লিখে জ্যাক লন্ডন সারা বিশ্বে তার জীবিতকালেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। অর্জন করেছিলেন আর্থিক স্বচ্ছলতাও। পরবর্তী সময়ে তাঁর অনেক উপন্যাস পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয়েও অগনিত দর্শকের আনন্দ দিয়েছে। এখনও দিচ্ছে। সূচিপত্র * শিশুর শৈশব * শিশুর স্লোগান * সবুজ সমুদ্র * কিশোর কৌশল
১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা গ্রামের বনেদী কাজি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্কুল, কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয়ে কৃতিমান ছাত্র ছিলেন এবং প্রথম শ্রেণীর সাথে অনার্সসহ এম.এ. ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে বিশ^ভারতী বিশ^বিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শনের ওপর উচ্চতর গবেষণা সম্পন্ন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসুর) সাবেক সাহিত্য সম্পাদক, সিনেট সদস্য, নন্দন পত্রিকার সম্পাদক এবং পরবর্তীতে দেশ বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা, আমন্ত্রিত বক্তা, গবেষণা ও বিশেষজ্ঞতার ভূমিকায় সংযুক্ত ছিলেন। গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ এবং প্রবন্ধ-গবেষণা, সাহিত্যতত্ত্ব, দর্শন, সংগীত, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমকালীন ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিক্ষেত্রেই জুলফিকার নিউটনের সংবিৎ সক্রিয় ও সুপ্রকাশ। তাঁর গল্প-উপন্যাস যেমন প্রীতিপদ, অনুবাদ সাহিত্য যেমন সুখপ্রদ, প্রবন্ধ ও গবেষণা তেমনই কোন না কোন দিক থেকে চমকপ্রদ। সব সময়ই তাঁর আলোচনায় থাকে চিন্তাকে উসকে দেবার মত অজস্র উপাদান, নতুনতর দৃষ্টি কোন বিচারে উদ্বুদ্ধ করার মত ক্ষুরধার বিশ্লেষণ। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ভিত্তিতে সাহিত্যে মৌলিক গবেষণা অনুবাদ ও জীবনবাদী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের জন্য আনন্দমেলা, বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ, রংধনু স্বর্ণপদক, রূপসী-বাংলা স্বর্ণপদক, বিদ্যাসাগর পুরস্কার, গান্ধী গবেষণা পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু একাডেমী, রবীন্দ্র পুরস্কার, নজরুল একাডেমী, সুভাষচন্দ্র পদক এবং কবীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।