ফ্ল্যাপে লিখা কথা ইউরোপ ভ্রমণের স্মৃতিকথা ‘অপরূপ ইউরোপ’। রোম থেকে শুরু আর কোপেনহেগেনে শেষ। মধ্যখানে ইউরেপের বেশ ক’টি শহরে ঘুরে বেড়ানো। ভালো লাগা, না লাগার নানা স্মৃতি।
রোমের ভ্যাটিকান সিটি, ভেনিস, আল্পস এর আঁকাবাঁকা উঁচুনীচু পথ বেয়ে চলা। জেনেভা লেক, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, ল্যুভ, আমস্টারডামের মাদাম ত্যুশো, ডাম স্কোয়ার, কোপেনহেগেনের রাদুস প্লাসে, আরও কত কী!
মূলত: ভ্রমণকাহিনী হলেও ডারিয়া চরিত্রটি এতে এনে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। পশ্চিমে জন্ম নেয়া স্বর্ণকেশী ডারিয়ার সাথে লেখকের প্রণয়বোধ এ ভ্রমণ কাহিনীকে উপন্যাসের চাদরে আবৃত করেছে খানিকটা।
পাশ্চাত্যের আলো বাতাসে বেড়ে উঠা ডারিয়া এক সহজ সাধারণ মেয়ে। উগ্রতা ভর করেনি ওর কাঁধে। জীবনের কঠিন ঘোরপ্যাঁচে অভ্যস্ত নয় সে। বাবা-মা’র বিচ্ছেদ ডারিয়াকে পারিবারিক জীবন থেকে দূরে ঠেলে দেয়। স্নেহ-ভালবাসা বঞ্চিত ডারিয়া অজানা মায়াবী টানে নিজেকে সপে দিতে চায় ভিনদেশী যুবকের ভালোবাসার পেলব আহ্বানে। নিরন্তর বুনে চরে স্বপ্নের রঙ্গীন বাসর। ঝলমলে চাঁদের আলোয় রূপোলী ঢেউ মুক্তো ছড়ায় অবিরাম অবিশ্রান্ত। প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে ডারিয়া গেয়ে ওঠে “ইফ উই হোল্ড অন টুগেদার, আই নো আওয়ার ড্রীম উইল নেভার ডাই।”
সাকিল চৌধুরী, জন্ম ১৯৬২ শেকড়-বিক্রমপুরের ভবানীপুর গ্রাম । পেশায় ব্যাংকার।। লেখাপড়া-ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর। মানবাধিকার সংগঠনের সাথে যুক্ত অনেকদিন থেকে। দেশের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ভ্রমণ করেছেন। এশিয়া ও ইউরােপের নানা দেশ। লেখালেখির অভ্যাস ছেলেবেলা থেকে। গ্রন্থাকারে লেখা প্রথম ভ্রমণােপন্যাস-‘অপরূপ ইউরােপ। ভালাে লাগে-ঘুরে বেড়ানাে, প্রিয়জনদের সাথে আচ্ছা। বসবাস-গাজী ভবন, নয়াপল্টন, ঢাকা।