ফ্ল্যাপে লিখা কথা সেলিনা সিদ্দিকী শুশু’র জন্ম ২রা জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে টাংগাইল । মা লতিফা সিদ্দিকী এবং বাবা মৌলভী মুহাম্মদ আব্দুল আলী সিদ্দিকী। স্বামী মেহেরুন ইসলাম খান সেলিম।
ছোটবেলা থেকে পূর্বদেশের ‘চাঁদের হাট’ এবং ইত্তেফাকের ‘কচি কাচার আসর’র নিয়মিত লেখিকা। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ক্লাসে একদিনের অভিজ্ঞতা। ১৯৭৫ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার প্রতিবাদে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের সাথে পুরো পরিবার দেশত্যাগ। ১৯৭৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিনিকেতন ফাইন আর্টসের উপর নতুন করে পড়াশুনা। ১৯৮৩ সালে প্রবাসী প্রকৌশলী স্বামীর সাথে আবুধাবী যাত্রা । ১৯৮৪ সালের ২রা জুলাই আমিরাত বাংলার জন্মলগ্ন থেকে সংবাদ পাঠিকা এবং উপস্থাপক। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের অধীন আবুধাবীর শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামীয়া স্কুলের শিক্ষিকা। দীর্ঘ সময় আবুধাবী মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদিকা। আবুধাবীর বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। ২০০০ সালের মাঝামাঝি কানাডার টরেন্টোতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু। বেতার বাণী কানাডায় দু’বছর নিয়মিত সংবাদ পাঠ। টরেন্টোর হারমনি হল ফর সিনিয়ার্সের সক্রিয় সদস্য। অঙ্গিকার নামক মাসিক পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক। বাংলাদেশ শিল্পী সংসদ এবং সাত সুরের সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। টরেন্টোর বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে কন্যা রীম, পুত্র জীৎ এবং স্বামী সবাই প্রবাসী। অনিচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় সময় প্রবাস যাপন করলেও হৃদয়ে সব সময় বাংলাদেশকে ধারণ করেন।
রূপকথা গল্পকার, কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। পেশাদার জীবনে তিনি একজন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পেশাজীবী ও নিবেদিত প্রাণ মনোবিজ্ঞানী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেন আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বেগম বদরুননেসা মহিলা মহাবিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্লার্ক ইউনিভার্সিটি থেকে।