শান্তি মানে অস্তিত্বের সকল স্তরে উপলব্ধি: ব্যক্তিগত এবং সামাজিক, স্থানীয় এবং বৈশ্বিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক। সালাম শুধু জীবিতদের জন্যই নয়, কবরবাসীদের জন্যও অপরিহার্য। আর সবচেয়ে কাক্সিক্ষত হলো জান্নাতের অভিবাদন হিসেবে সালাম যা জান্নাতবাসী তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে লাভ করবে। এজন্য কবর ও জান্নাতে সালাম পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের উপায় আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে আল্লাহ তা’আলার কিতাব থেকে প্রাসঙ্গিক আয়াত সন্নিবেশিত হয়েছে। অনুরূপভাবে, যথাযথ রেফারেন্স সহ প্রাসঙ্গিক সহিহ হাদিসসমূহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাaইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ হিসেবে উদ্ধৃত হয়েছে। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সহজ অনুবাদ ব্যবহার করাই সংগত মনে করা হয়েছে। দুই একটি শব্দ বা বাক্য ব্যতীত সকল ক্ষেত্রেই শুধু অর্থ তুলে ধরা হয়েছে। সালাম, মুসাফাহা পারস্পরিক সম্প্রীতির বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেই দিক থেকে অন্যান্য ধর্মের লোকজনদের সালাম দেওয়ার নির্দেশ ও রীতি আলোচনা করা হয়েছে। ফলে অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও এই গ্রন্থটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং ইসলামের সৌন্দর্য অনুভব করতে পারবেন। সর্বোপরি গ্রন্থটি যেন পড়ার পরে তাকে/আলমারিতে ফিরে না যায়। বরং জীবনে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অনুসরণ করার জন্য পাঠকগণ যখন খুশি বইটি পড়বেন আল্লাহর কাছে এই তাওফিক কামনা করছি।