সবার জন্য পাওয়ার অব টাইম ম্যানেজমেন্ট আপনি শিক্ষার্থী কিংবা চাকরিজীবী, যে অবস্থানেই থাকুন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব ও চাপ বাড়তে থাকবে। যদি সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা আয়ত্ত না করেন, তাহলে কোনো কাজই ভালোমতো হবে না। ফলে শিক্ষাজীবনে ফলাফলের বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর কর্মক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারায় ক্যারিয়ারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন ব্যহত হবে । মনে রাখবেন, সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আপনার যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে সময়নষ্টকারী কাজগুলোকে ঝেড়ে ফেলে সময়ের কাজ সময়ে করুন। সময় ব্যবস্থাপনায় সাফল্য লাভের মূলমন্ত্রই হচ্ছে আগ্রহের বিষয়ের প্রতি একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে লেগে থাকা। সেই সঙ্গে দরকার বিশেষ প্রচেষ্টা এবং নিবিড় সাধনা। সময়ের পরিপূর্ণ ব্যবহারে যে কেউ হয়ে উঠতে পারে সফল ও ঈর্ষণীয় সাফল্যের অধিকারী। *ভূমিকা* আমাদের পুরো জীবন সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ; তাই অনেকের মুখে শুনতে পাই আমার সময় নেই, অনেক ব্যস্ত আছি। আবার কেউ কেউ বলেন কিভাবে যে দিন পার করি, সময় যেতে চায় না। সময় নিয়ে কতকথা কিন্তু সময়ের সদ্ব্যবহারে আমরা কতটা সচেতন। অনেক কিছু চাই কিন্তু তা পাওয়ার জন্য সময় দিতে চাই না। দিনের বেশিরভাগ সময় যদি অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় হয়, তখন প্রয়োজনীয় কাজ করার মতন সময় হাতে থাকে না। যে কারণে আমরা সফলতার মুখ দেখতে পাই না। পাওয়ার অব টাইম ম্যানেজমেন্ট আপনাকে এক নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় করে দেবে। যার মাধ্যমে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহারে আপনি সচেতন হবেন, সেই সাথে সফলতার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। বিগত পাঁচ বছরের সাধনা ও শ্রমের ফসল ‘পাওয়ার অব টাইম ম্যানেজমেন্ট’। এ সংক্রান্ত বহু বই, প্রবন্ধ ও লেখা পড়েছি। এমনকি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে টাইম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ২০১৬ সালে স্বল্প মেয়াদি ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করি। এবিষয়ে যতটুকু জ্ঞানার্জনের সুযোগ হয়েছে তার শতভাগ নিজের জীবনে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করেছি। শুরুটা ছিল বেশ কঠিন; বহু বার নিজের কাছে হেরে গেছি এবং হাল ছেড়ে দিয়েছি। আবার শুরু করেছি। অসংখ্য সফল মানুষদের জীবনী পড়ে বুঝতে চেষ্টা করেছি, তাঁরা ঠিক কিভাবে সময়কে ম্যানেজ করতেন। এখনো প্রতিনিয়ত শিখছি যার ফলে অত্যন্ত পছন্দের বিষয়ে পরিণত হয়েছে টাইম ম্যানেজমেন্ট। আপনি যে অবস্থানেই থাকুন আপনার জীবনকে সাজাতে সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনা আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করতে পারেন। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন আপনি এতকিছু করার সময় পান কখন? আমি হেসে জবাব দেই- ইচ্ছে থাকলে সবই সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইচ্ছাশক্তির কোন বিকল্প নেই। সময় ব্যবস্থাপনা জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনে এক জাদুকরি ঔষধের মত কাজ করে। আমার জীবনের উপলব্ধি থেকে বলছি, যদি সময় ব্যবস্থাপনা না শিখতাম তাহলে আজকের অবস্থানে আসা কখনোই সম্ভব হতো না। পরিশেষে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সেই সকল গুণীজনদের যাদের সান্নিধ্যে আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে জ্ঞান সাধনায় চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। দেশি-বিদেশি অসংখ্য বইয়ের লেখকদের কাছে আমি ঋণী; যাদের বই না পড়লে টাইম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞানের চর্চা হতো না। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি; যাদের লেখা, কথা, বাণী এই বইকে অলংকৃত করেছে। সর্বোপরি মহান আল্লাহতালার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি; যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের কল্যাণে বই লেখার সৌভাগ্য দান করেছেন। হে আমার রব, জ্ঞান বিতরণের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আপনি কবুল করুন। আমিন।