ভূমিকা ইংল্যাণ্ড সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্মস্থান ও দোলনা; এক সময় এটা হয় গণতন্ত্রের কৈশোর, যৌবন ও প্রায় পরিপক্বতার লীলাভূমি।ইংল্যান্ডে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকশিত হতে সময় লাগে আট/নয়শত বছর। ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা বিশ্বের সকল দেশের মন্ত্রিসভার পিতা; ব্রিটিশ পালামেন্টকে বলা হয় মাতৃ পার্লামেন্ট; এটা বিশ্বের সকল দেশের পার্লাবেন্টের মতো। আমেরিকার বিপ্লবীরা তাদের পূর্ব-পুরুষদের অনুসরণ করে প্রায় ব্রিটিশ প্রকৃতির একটি সংবিধান প্রণয়ন করে।তবে আমেরিকান গণতন্ত্র সংসদীয় গণতন্ত্র না হয়ে রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্র হয়।ব্রিটিশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইংরেজদের অনেক কষ্ট ছিল, বঞ্চনা ছিল, এক রাজাকে হত্যা করতে হয়েছিল; আর একজন রাজাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। একইরকমভাবে অনেক ট্রায়াল ও এরোর-এর মধ্য দিয়ে আমেরিকানরা তাদের গণতন্ত্র পায়।উভয় দেশ কেবল তাদের দেশের গণতন্ত্রের রক্ষক নয়;এক সময় উভয়েই ছিল বিশ্বের গণতন্ত্রের রক্ষক।তারা জার্মানির কাইজার ও হিটলারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করে বিশ্বের গণতন্ত্রকে নবজীবন দেয়।উপযুক্ত বিষয়ে উভয়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে অন্যদিকে তারা ছিল দস্যু; ইংল্যান্ড দস্যুবৃত্তি করে বিশ্বের প্রায় সকল অনুন্নত দেশকে দখল করে এবং তাদের জনগণের উপর চালায় অপরিসীম জুলুম, অত্যাচার ও নিপীড়ন।অন্যদিকে আমেরিকা তার অভ্যন্তরে বসবাসকৃত রেড ইন্ডিয়ানদেরকে একই রকমভাবে জুলুম করে তাদের জায়গা থেকে উৎখাত করে তাদেরকে অস্বাস্থ্যকর জায়গায় নিক্ষেপ করে।ইংরেজদের মতোই তারা অন্যের দেশ দখল করে বর্তমানে আমেরিকার দস্যুবৃত্তিতে বিশ্ব অতীষ্ট। প্রাকৃতিক শাস্তি, যেমন-খরা, বন্যা, ঝড়, সুনামী ইত্যাদি কেবল শক্তিধর মার্কিন-যুক্তরাষ্ট্রকে সায়েস্তা করতে পারে। বিশ্বের মানুষ তাই চায়।সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস দুঃখদায়ক, কষ্টদায়ক ও মানবতাবিরোধী।আংশিকভাবে এই কারণে আমেরিকার ইতিহাস রচিত হয়েছে; এটা লেখার আংশিক কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা। এটা প্রাধানত জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের পাঠক্রম অনুযায়ী রচনা করা হয়েছে।যদি প্রন্থটি সাধারণ পাঠক ও শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে তবে আমার শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।বইটি লিখতে আমাকে আমার প্রাক্তন সহকর্মী প্রফেসর ড. সামসুর রহমান ও প্রফেসর ড. মর্ত্তুজা খালেদ এবং আমার ভাইপো শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ শেলী আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তারা ধন্যবাদার্হ।বইটি কম্পোজ করেছেন নিতাই কুমার মণ্ডল, নিরোধ কান্তি মণ্ডল ও জনাব মাহাবুর রহমান, ফ্রিকোয়েন্ট কম্পিউটাস, ২১ বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট, কালনা, রাজশাহী। আমি তাদের কাছে ঋণী।বইটির প্রকাশনার জন্য জনাব এ কে এস তারিকুল ইসলাম, তাম্রলিপি, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা-কে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রফেসর ড. ওয়াজেদ আলী