লিখতে হয় কখনো প্রেমে ও প্রেরণায়, কখনো দায়ে-অনুরোধে-যাতনায়। অন্তরের দায় ও প্রেম যখন একাত্ম হয় তখনই লেখাটা প্রকৃত অর্থে লেখা হয়ে ওঠে। এ গ্রন্থের প্রবন্ধগুলোর ক্ষেত্রে সবই নেপথ্যে রয়েছে, তবে তা একাত্ম হবার সুযোগ পেয়েছে কিনা সে বিচার পাঠকের। স্বীকার করছি, রীন্দ্রনাথ ও নজরুল সম্পর্কিত প্রবন্ধদুটোর প্রতি একটি স্বতন্ত্র অনুরাগ রয়েছে। গ্রন্থ-শিরোনামের ক্ষেত্রে এই প্রেমটুকু তাই অধিক গুরুত্ব পেলো। তবে, অধিকাংশ প্রবন্ধের ক্ষেত্রেই প্রেম ও শ্রমের সংরাগ ঘটেছে গভীর আন্তরিকতায়। প্রায় দশ বছরকালের নানা পর্যায়ে প্রবন্ধগুলোর জন্ম এবং প্রত্যেকটিই বিভিন্ন গবেষণা- জার্নাল, সাহিত্য-পত্রিকা ও গবেষণা-সংকলনগ্রন্থে প্রকাশিত। এইসূত্রে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয় সাজ্জাদ আরেফিন, তপন বাগচী, শহীদ ইকবাল, এম. আবদুল আলীম, রহমান রাজু এবং আবু মোহাম্মদ ইউসুফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পাদককে। প্রবন্ধগুলোর জন্মসাল নয়, লেখকের জ্যেষ্ঠতা ও বিষয়-সাযুজ্য সূচিসজ্জায় গুরুত্ব পেয়েছে। বইটি প্রকাশের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন নবরাগ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় মোঃ আব্দুল মালেক। তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এ সম্পর্কটি অটুট থাক। জন্মমাত্রই আনন্দের। আনন্দের একটি নেশা আছে। বেঁচে থাকবার নেশা বাঁচিয়ে রাখবার নেশা। সবচেয়ে ভালো হতো লেখাগুলো একই গোত্রের হলে। বাঁচিয়ে রাখবার নেশা থেকেই মিশ্রণটি করতে হলো। নতুন গ্রন্থস্পর্শে সব লেখকই বোধকরি সন্তান-সুখ পান। আমার ক্ষেত্রেও তাই। এ সুখ পাঠকের মনে দাগ কাটলেই কেবল সুখের স্থায়িত্ব। সকলের শুভাশিস লেখকের সঙ্গী হোক।