বেকুন এবং বাদাবী নেতৃত্বের ওপরে লিখেছেন একটি বুনিয়াদি গ্রন্থ। এখানে সমসাময়িক ব্যবহারিক কলা-কৌশলের সঙ্গে ইসলামি জ্ঞানের অভূতপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। উভয়ের সমন্বয়ে উন্নতশীল নেতৃত্বের দক্ষতার সহায়ক ব্যবহারিক এবং প্রেরণাদায়ক উচ্চমানের ম্যানুয়াল -এ পরিণত হয়েছে বক্ষমান গ্রন্থটি। ইসলামে নেতৃত্বকে আমানত মনে করা হয়। এখানে একজন নেতৃত্ব এবং তার অনুসারীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক বোঝাপড়া , পারস্পরিক সম্পর্কর কথা তুলে ধরা হয়। একজন নেতৃত্ব সর্বোচ্চ উজাড় করে তার অনুসারীদের গাইড করার চেষ্টা করবেন। সুতরাং ইসলামী নেতৃত্বের মূল উপজীব্য বিষয় হচ্ছে ভালো কিছু করা। ইসলাম অনুসারে , প্রত্যেকে এক একজন দায়িত্বশীল। প্রত্যেকেই নেতৃত্ব তথা দায়িত্বশীলের অবস্থানে থাকেন।' Leadership: An Islamic Perspectives ' বইয়ের বাংলা অনুবাদ হচ্ছে ' ইসলামে নেতৃত্বে ধারণা '। মুসলিমরা তাদের দায়িত্ব তথা নেতৃত্বের ভূমিকা কিভাবে পালন করবে সেসম্পর্কে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে বইটিতে। বইটিতে অমুসলিম সম্প্রদায় যারা বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মুসলিমদের নেতৃত্বের বুনিয়াদি ধারণা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চায় এবং সেসব মুসলিম যারা উন্নততর নেতৃত্বকে উপস্থাপন করতে চায় - তাদের উভয়কে সামনে রেখে বইটি বিরচিত হয়েছে। লেখকদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা নেতৃত্বের অঙ্গনে অধ্যয়ন, শিক্ষা প্রদান এবং চর্চা করেছেন। তারা দুজনেই অসংখ্য ইসলামিক এবং ইসলামিক সংগঠনের ছত্রছায়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। একাজে তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন প্রথিতযশা বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টরের মত গুরুত্বপূর্ণ পদও।
রফিক ইসা বীকুন (বি. এ. অর্থনীতি, এম. এ. কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউইয়র্ক; এম. বি. এ. ব্যবস্থাপনা, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং পি-এইচ ডি ব্যবসায় প্রশাসন, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়) বর্তমানে ম্যানেজমেন্ট ও স্ট্র্যাটেজী বিভাগের একজন অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। তিনি নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন- ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সভাপতির, কর্পোরেট গভর্ন্যান্স অ্যান্ড বিজনেস এথিক্স সেন্টারের সহ-পরিচালকের। টেম্পল ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন মুসলিম ছাত্র সমিতির সভাপতি ছিলেন; উত্তর আমেরিকার পূর্ব-উপকূল এবং পশ্চিম-উপকূল উভয় জোনের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন: এছাড়া, তিনি উত্তর আমেরিকার ইসলামিক ট্রাস্টের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন; যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মুসলিম সোশ্যাল সায়েন্টিস্টস সমিতির সদস্য হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসোসিয়েশন অব মুসলিম সোস্যাল সায়েন্টিস্ট এর সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৯-২০০০ সেশনে তিনি ছিলেন সিনিয়র ফুলব্রাইট স্কলার। তাঁর একাডেমিক গবেষণামূলক বিভিন্ন প্রবন্ধ এ্যাপ্লায়েড সাইকোলজী, হিউম্যান রিলেশন্স, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অর্গানাইজেশনাল এ্যানালাইসিস, জার্নাল অব ম্যানেজমেন্ট এবং অন্যান্য জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমি অব ম্যানেজমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ডিসিশনস্ সায়েন্সেস ইন্সটিটিউট-এর সদস্য। এ বিষয়েও তিনি বিভিন্ন বই প্রকাশ করেছেন এবং ইসলাম অনুসারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, যুক্তরাজ্য, মরিশাস ও ত্রিনিদাদে ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহ পরিচালনা করছেন।