আদিত্য অনীক প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আমাকে ফোনে একটি বই অনুবাদ করার অনুরোধ করলেন। বইটির নাম “দ্য ফিউচার অব হিউম্যানিটি।” বইটি লিখেছেন ড. মিশিও কাকু। তিনি বলা মাত্রই আমি রাজি হয়ে গেলাম। কয়েক দিনের মধ্যেই ইংরেজিতে লেখা বইটি আমার হাতে এলো। বইটা কয়েকদিন নাড়া-চাড়া করে মনে হলো, বইটি যেন ভবিষ্যৎ মানব জাতির একটি দলিল। বিজ্ঞানের কল্যাণে আজ আমরা এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে কয়েক ঘণ্টায় চলে যেতে পারি। আর আমাদের পূর্বপুরুষদের আফ্রিকা থেকে এশিয়া মহাদেশে আসতে দশ হাজার বছর সময় লেগেছিল। বিজ্ঞানের এই অভ‚তপূর্ব অগ্রযাত্রায় আগামী দশ হাজার বা এক লক্ষ বছর পরের মানুষ কেমন হবে তাদের গতি কেমন হবে, তাদের জীবন যাত্রা কেমন হবে সেটিই যেন চিত্রকরের মতো করে লেখক এই বইটিতে খোদাই করেছেন। বিজ্ঞানমন®‥ মানুষের এটি জানার একটি কে․ত‚হল আছেÑ এটি আমি সুনিশ্চিত। যে সকল বিষয় এ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত আছে তার বর্ণনা সংক্ষেপে দেয়া হলো। বইয়ের প্রথমেই আছে, রকেটের উত্থান পর্ব। রকেট বিজ্ঞানের কথা বললেই রবার্ট গডার্ড এর নাম চলে আসে। রকেটের শুরু থেকে গডার্ড এর পর যাদের নাম আসে তারা হলেন, সিওলকোভ¯ি‥ ও ভন ব্রন। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের সময় এ রকেট টেকনোলজিকে যুদ্ধের কাজেও ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা ও রাশিয়া এর মধ্যে কে আগে চাঁদে যাবে এ নিয়ে বহু প্রতিযোগিতা হয়েছে। আমেরিকা চাঁদে যাবার পর রাশিয়া থেমে গেছে। এরপর এক সময় আর্থিক সঙ্কটের কারণে যুক্তরাষ্ট্র কিছু দিনের জন্য রকেট নিয়ে গবেষণা বন্ধ রেখেছিল। বইটিতে এ বিশ্ব শুরু হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা হয় যে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে একটা বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে এ বিশে^র পথচলা শুরু হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোনো এক সময় গ্রহাণুর আঘাতে হয়ত পৃথিবীর একটা অংশ ছুটে গিয়ে চাঁদের জন্ম হয়। চাঁদের মাটির সাথে চীন দেশের বিশেষ এক ধরনের মূল্যবান মাটির বেশ কিছু মিল আছে। পৃথিবীর সাথে চাঁদের যোগাযোগ আরো ভালো হলে ভবিষ্যতে চাঁদের মাটি সংগ্রহ করা যেতে পারে। আমাদের সে․রজগত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সে․রজগতকে চারটা বেল্ট এ ভাগ করা হয়। প্রথম বেল্টে আছে চারটা গ্রহ। দ্বিতীয় বেল্ট হলো গ্রহানুর বেল্ট। তৃতীয় বেল্টে আছে কয়েকটা গ্যাস জাতীয় গ্রহের বেল্ট। আর সবার শেষে আছে কুইপার বেল্ট। এ চারটি বেল্টের বাইরে ধুমকেতু ও ধূলিময়লার মেঘমালা সে․রজগতকে ঘিরে রেখেছে। এটিকে বলা হয় অর্ট ক্লাউড। পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে একটি চাঁদ। মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি এদের চারিদিকে কয়েকশ চাঁদ ঘুরছে। এদের মধ্যে ইউরোপা, টাইটান ও এনচেলাদুস নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে।
Michio Kaku (born January 24, 1947) is an American theoretical physicist, futurist, and popularizer of science (science communicator). He is a professor of theoretical physics in the City College of New York and CUNY Graduate Center. Kaku has written several books about physics and related topics, has made frequent appearances on radio, television, and film, and writes online blogs and articles. He has written the New York Times best sellers: Physics of the Impossible (2008), Physics of the Future (2011), The Future of the Mind (2014). Kaku has hosted several TV specials for the BBC, the Discovery Channel, the History Channel, and the Science Channel.