সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সুদীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় বহুমাত্রিক তিশটি আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের সমন্বয়ে স্থায়ীত্বশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করেই সাজিয়েছেন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির পথে-র সমৃদ্ধ নান্দনিক কলেবর। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মাঝে গণতান্ত্রিত রাজনৈতিক আর সম্পদের যৌক্তিক সাম্য-সমাজতান্ত্রিক ন্যায়ভিত্তিক সুষম বণ্টন ব্যবস্থার চিন্তা-চেতনা ও কর্মের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে যেমনি কিছু প্রবন্ধ সংযুক্ত করা হয়েছে তেমনি দেশে গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যেও কিছু প্রবন্ধের সংযুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে কাঙ্ক্ষিতমাত্রায় দেশপ্রেম-দেশাত্মবোধ চেতনা সমৃদ্ধ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণকে গণমানুষের প্রতিনিধিত্বশীলতায় দেশ-সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে সাহিত্য রচনায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ করে তোলার আশায় যেমনি কিছু প্রবন্ধ রচিত হয়েছে তেমনি সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আর প্রত্যাশাও তাঁকে কিছু প্রবন্ধের সংযুক্তিতে প্রলুব্ধ করেছে। একজন আদর্শিক রাজনৈতিক নেতা বা কর্মী তাঁর গণদায়িত্বের কথা, একজন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সমাজ-দেশ-রাষ্ট্রের কিংবা গণমানুষের কাছে দায়বদ্ধতার কথা এবং একজন বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাবিদ-গবেষক তাঁর গণকল্যাণকর উন্নয়ন চিন্তার দায়-দায়িত্বের কথা যেমনি কখনো কোন অবস্থাতেই ভুলে যাবেন না তেমনি এদেশের প্রতিটি নাগরিকও ভুলে যাবেন না সুনাগরিক হিসেবে তাঁদের নাগরিক দায়িত্বের কথা। এই গ্রন্থভূক্ত মোট ত্রিশটি বিচিত্র প্রবন্ধের অন্তর্নিহিত শুদ্ধতম চিন্তা-চেতনা, দেশাত্মবোধ-দেশপ্রেমের বিশ্বাসে গণমানুষের ভালোবাসার পথ ধরেই প্রতিষ্ঠিত হবে নিবিড় প্রত্যাশার কাঙ্ক্ষিত সুখি সমৃদ্ধ শান্তির স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। এই মূল্যবান গ্রন্থটি পাঠান্তে রাজনীতিক ও আমলা, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক, সংগীত ও চিত্রশিল্পী, যাত্রা ও নাট্যশিল্পী, শিক্ষার্থী ও গবেষক প্রত্যেকেই কমবেশি উপকৃত হবেন এটুকু বিশ্বাসতো আমাদের আছেই।
সিরাজুল করিম এর জন্ম ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দের ৩১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নয়ন নেতৃত্ব ও প্রশিক্ষণ, গবেষক ও নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ সত্তর দশকের কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রযুক্তিবিদ ও অপ্রতিদ্বন্দ্বি কৃষিবিজ্ঞান লেখক সিরাজুল করিম এঁর লেখালেখির শুরু ১৯৬৪ সনে ‘মিনতী’ নামক ছড়া প্রকাশের মাধ্যমে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্য ও পাঠ্য সহায়ক ২২টি সহ আজঅব্দি কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, কথাসাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষনা সবমিলে প্রকাশিত গ্রন্থ ৭৯টি। আমাদের চলমান সাহিত্যের সকল শাখাতেই তাঁর সার্থক বিচরণ ঘটেছে, সময় কিংবা সময়ের ঘটনাকে তিনি ধারণ করেছেন এবং তুলে ধরেছেন। কালােত্তীর্ণ ভাব ও ভাষায় তাঁর স্বকীয় নির্মাণ কৌশলে। সিরাজুল করিম এঁর সাহিত্য নির্মাণ দক্ষতা প্রশংসাযােগ্য এবং তাঁর কবিতা, প্রবন্ধ ও কথাসাহিত্যে গণমানুষের জীবন-সংস্কৃতির স্বনিষ্ঠ উপস্থাপনা যেমনি আত্মােপলব্ধি বাড়ায় তেমনি উন্নয়ন গবেষনা ও কৃষিসাহিত্যের প্রভাবে তরান্বিত হবে চলতি উৎপাদন-অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায়। সিরাজুল করিম জাতীয় সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং নারী উন্নয়ন ফোরাম বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ বহু সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন সম্পৃক্ত থেকে উৎপাদন-অর্থনৈতিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন ।। আমাদের সার্বিক কৃষি উৎপাদন-অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে তিনি কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বর্ণপদক ২০০২, সাহিত্যে দি গােল্ডেন ডিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০০৩, ফকলাের চর্চা কেন্দ্র পুরস্কার ২০০৪, জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পদক ২০০৬, লেখক কল্যাণ সংস্থা পদক ২০০৭, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক ২০১৩ সহ ২২টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক/পুরস্কার সম্মাননা লাভ করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার Prize of the President of the Republic for World Solidarity 2009 478 5th Okinawa Peace Prize' নাম আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্যে তাঁর নাম বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাব করা হয় যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিরই স্বীকৃতি।