"থিসিস ও গবেষণার রূপরেখা" বইটির 'প্রসঙ্গ কথা' থেকে নেয়াঃ বই লেখায় আমার হাতে খড়ি ১৯৯৫ সালে। “মনােবিজ্ঞানের ভূমিকা” নামে আমার লেখা প্রথম বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর আরও বেশি কিছু বই বের করেছি। আমার লেখা বেশির ভাগ বই মনােবিজ্ঞান সংক্রান্ত পাঠ্য পুস্তক। ১৯৯০ সালে প্রথম মনােবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করার মধ্য দিয়ে নানা সময়ে মনােবিজ্ঞানের বাংলায় লেখা পাঠ্যবই-এর প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি করেছি। আর সে কারণেই মনােবিজ্ঞানের উপর বেশি কিছু বই লেখার কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য উন্নত দেশে থাকার পর আর একটি বিশেষ বিষয়ের উপর লেখার তাগিদ অনুভব করি। তা হলাে গবেষণা বিষয়ক। অবশ্য গবেষণার উপর আমার লেখা পরীক্ষণ "মনােবিজ্ঞান ও গবেষণা পদ্ধতি” বইটি ইতােপূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু গবেষণার সাথে উচ্চতর ডিগ্রির সম্পর্ক ও এদের একাডেমিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে লেখার বিশেষ তাগিদ অনুভব করেছি বার বার। আর তারই ফলশ্রুতিতে “থিসিস ও গবেষণার রূপরেখা”বইটি লেখার কাজে হাত দিয়েছি।
“থিসিস ও গবেষণার রূপরেখা” বইটিতে থিসিস, পিএইচ.ডি., গবেষণা, গবেষণা প্রবন্ধ, প্রকাশনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করার প্রয়াস পেয়েছি। বইটিতে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে যা সকলেরই বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য জানা একান্তই প্রয়ােজন। অবশ্য বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা বই বাজারে সচরাচর চোখে পড়ে না। বইটিতে দেশী ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিয়ম-কানুন, প্রথা, প্রচলন ইত্যাদি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলােচনা করা হয়েছে।