তৎকালীন ভারতবর্ষে জন্ম নেওয়া এক কিশোরীর মনে প্রণয় জাগে তৎকালীন সময়ের এক বিদ্রোহীর প্রতি! তার প্রণয়কে সম্মান জানিয়ে হাত ধরে সেই বিদ্রোহী! কিশোরীটি বিদ্রোহীর হাত আঁকড়ে ধরেছিল অজানা সুখের আশায়৷ এক বিদ্রোহীর প্রেমে পড়ে সরলা একটি মেয়ে হয়ে উঠেছিল নির্ভীক। সেই নির্ভীকতাই খুলে দেয় তার পতনের দ্বার। আকস্মিক দুই নর-নারী একে অপরের থেকে ছিটকে পড়ে! তৎকালীন ইংরেজ সৈনিকদের কঠিন নির্মমতার শিকার হয় কিশোরী! মুখোমুখি হয় এক স্বার্থেন্বেষী পৃথিবীর! একটি সুন্দর গোলাপ কুঁড়ি প্রস্ফুটন ঘটার আগেই ঝড়ে পড়তে বাধ্য হয়। এরপর চলে উত্থান-পতনের নানান খেল! সময়ের করাল স্রোতে জন্মলগ্নে পাওয়া আদুরে নামটি বিলীন হয়ে গেলে নতুন উদ্যমে, নতুন নামে নতুন পরিচয় গড়ে তোলে। মিশিবিবি এক সর্বগ্রাসীর প্রত্যাবর্তনের গল্প। যে গল্পে রয়েছে প্রতিটি পদে পদে নতুন কিছুর স্বাদ। সময় গড়িয়ে কিশোরী মেয়েটি হয়ে ওঠে পূর্ণ যৌবনা নারী। এরপর চলে নতুন মাত্রার খেল! যা থেকে সে উপলব্ধি করতে পারে, 'সুখ বয়ে আনে দুঃখের বার্তা; সৃষ্টি আভাস দেয় ধ্বংস নিশ্চিত। দুঃখ আসে সুখের আশায়; ধ্বংস হয় সৃষ্টির সম্ভাবনায়।' এরপর...? সেই বিদ্রোহীর সঙ্গে কি ফের দেখা হয় কিশোরীর? কী ঘটে তাদের জীবনে? শেষ অবধি কি তারা মিল হতে পেরেছিল? কিশোরী বয়সের প্রণয় কি সুন্দর একটা সমাপ্তি পাবে? জানতে হলে পড়তে হবে প্রাচীনকালের উপাখ্যান মিশ্রিত সামাজিক থ্রিলারের আদলে গড়া মিশিবিবি নামের চমৎকার এই উপন্যাসটি।
“জান্নাতুল নাঈমা”— টাঙ্গাইলের এক মফস্বল শহরের মেয়ে। বাবা মো: জাহাঙ্গীর হোসেনের একমাত্র আদুরে কন্যা। জন্ম জানুয়ারির সাত তারিখ। টাঙ্গাইলেই তাঁর বেড়ে ওঠা। সাহিত্য অনুরাগ থেকে অনার্স করছেন বাংলা সাহিত্য নিয়ে টাঙ্গাইলে, কুমুদিনী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে। বর্তমানে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পছন্দের কাজ বই পড়া। তাঁর খুব ছোটো ছোটো স্বপ্ন। তাঁর স্বপ্নগুলোর মাঝে একটি স্বপ্ন হলো লেখালিখি নিয়ে, লেখালেখির প্রতি রয়েছে তীব্র উন্মাদনা। দুহাজার বিশ সালের মাঝামাঝিতে ফেসবুক প্লাটফর্মের মাধ্যমে তার লেখালিখির আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন থেকেই লেখালিখির যাত্রা শুরু করেন তিনি। লিখে যাচ্ছেন বিভিন্ন গল্প ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র নিয়ে। এরই মাঝে ই-বুক প্লাটফর্মে প্রকাশ পেয়েছে তার দুইটি ই-বুক ‘আকুলিবিকুলি’ এবং ‘সুন্দরীর হৃৎদন্ডন’। দুটি ই-বুকরই অবস্থান ছিলো বেস্ট সেলার শীর্ষে। জনপ্রিয় লেখক ‘জান্নাতুল নাঈমার’ প্রথম বই “মিশিবিবি”। লেখক তার আবেগ, অনুভূতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এই “মিশিবিবি”-কে। লেখকেরর কামনা, পাঠকের ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকুক “মিশিবিবি”। লেখকের জন্য শুভকামনা এবং অভিনন্দন।