ইসলাম দুর্বলের প্রতি দয়া করে। সৃষ্টিগত ভাবেই আল্লাহ পুরুষকে বেশি শক্তি দিয়েছেন। নারীকে দিয়েছেন কম। আল্লাহ তায়ালা নারীকে দায়িত্ব-ও সেভাবেই দিয়েছেন, যেভাবে তার শরীর বানিয়েছেন। আর পুরুষকে তার শরীরের শক্তির পরিমাণ দায়িত্ব দিয়েছেন। ইসলাম জীবিকা আয়ের দায়িত্ব নারীর ওপর দেয়নি। যদি মেয়ে হয় তাহলে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব বাবার ওপর দেয়া হয়েছে। যদি সে বোন হয় তাহলে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব ভাইয়ের ওপর দেয়া হয়েছে। যদি সে স্ত্রী হয়, তাহলে তাকে লালন-পালনের দায়িত্ব স্বামীর ওপর দেয়া হয়েছে। ইসলাম সারাজীবনে কখনোও নারীর ওপর জীবিকার ভার দেয়নি। বরং তার কাছের জনের ওপর দায়িত্ব দিয়েছে, তোমরা আয় করে ঘরে এনে তাদের খাওয়াবে। নারীকে ইসলামে ঘরের রাণী বানিয়েছে। এখন ঘরের এ রানী যদি তার মর্যাদা সম্পর্কে বে-খবর থাকে, সে কি পরিমাণে দামী সে সম্পর্কে অবগত না থাকে, তবেই তো সে এক পর্যায়ে গিয়ে রানী থেকে ঘরের চাকরানীতে পরিণত হয়ে যাবে। এমনকি ইসলাম আপনাকে যে সম্মান দিয়েছে সে সম্মান আপনি ধরে রাখতে পারবেন না। পারবেন-ই বা কি করে? আপনি তো সে সম্পর্কে বে-খবর। ইসলাম নারীর প্রতি কতটা দয়া করেছেন, সেটা সকলের-ই জানা উচিত। * ইসলামে নারীর র্মযাদা * নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি * স্ত্রী হিসেবে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য * স্ত্রীদেরকে আল্লাহ কি দায়িত্ব দিয়েছেন * মা হিসেবে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য * কন্যা ও বোন হিসেবে নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি * স্বামী ঘরে আসার পর দায়িত্ব * আদর্শ নারীর কিছু গুণাবলী * নারীদের মধ্যে কথা বিকৃত করার বৈশিষ্ট * যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা স্ত্রীদের ভালোবাসেনঃ * একে অপরের কিছু ভাল দিক খুঁজে বের করাঃ * স্বামীকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা * অবৈধ ক্ষেত্রে স্বামীর আনুগত্য না করা * স্বামী-স্ত্রীর একান্ত গোপনীয়তা প্রকাশ না করা * স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোথাও বিবস্ত্র না হওয়া * স্বামীর অনুমতি ব্যতীত কাউকে তার ঘরে ঢুকতে না দেয়া * স্বামীকে সাহস দেওয়া * স্বামীর ব্যাপারে দরদী হওয়া * স্বামীর মন জয়ের পদ্ধতি * স্বামীর সাথে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করবে নারী জীবনের বেশকিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলোর সওয়াবের কথা জানতে পারলে আপনার বুঝে আসবে। যে ঘরে মেয়ে জন্মে, আল্লাহ সে ঘরে রহমতের দরজা খুলে দেন। দুই মেয়ে হলে বাবার জন্যে দুটি রহমত হয়। এমন বাবা জান্নাতে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এতো কাছে থাকবে, দুটি আঙ্গুল যতো কাছে থাকে।
হাফেজ মাওলানা মুফতি ফরহাদ হুসাইন। তিনি হযরত সুমাইয়া (রা.) মহিলা মাদরাসা এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামীম, যার অবস্থান কলাগাছিয়া, বন্দর, নারায়ণগঞ্জে। তিনি সবসময় আল্লাহ্ তা’লার প্রশংসা করেন, তার কাছে সাহায্য চান, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তার উপর ঈমান আনেন এবং তার উপরই ভরসা করেন।