১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে জন্ম হয়। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান। জিন্নাহর দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে অবস্থিত এ দুটি অংশের মধ্যে মিল ছিল কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মে। পাকিস্তানের জন্যলগ্ন থেকেই এর পূর্ব অংশ পশ্চিম অংশের তুলনায় নানাভাবে বঞ্চিত হতে থাকে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ বছর ছিল পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস। সেই শোষণ ও বঞ্চনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ দিনে দিনে পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথমে স্বাধিকারের আন্দোলন যা পরবর্তীকালে রূপ নেয় স্বাধীনতার আন্দোলনে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তাে নর বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে নিজেদের লাল-সবুজ পতাকা ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ; যার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে অনেক পুস্তক রচিত হলেও আমাদের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাজারে যে সব গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে তা যথেষ্ট নয়, এমনকি অনেক গ্রন্থেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খণ্ডিত, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিকৃত ও ভুল তথ্যে ভরা। কিন্তু মাহবুবুল আলম রচিত 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ' গ্রন্থটি আমাদের কাছে অধিক ইতিহাসনির্ভর ও তথ্যভিত্তিক মনে হয়েছে বলেই জিনিয়াস পাবলিকেশন্স থেকে গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বইটি পড়ে সবাই বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে।
কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।