সাম্ভালা একটি রহস্য-এর খোঁজে হন্যে হয়ে উঠেছে কিছু মানুষ। সত্যি কি এর অস্তিত্ব আছে? কেউ কি এর খোঁজ পেয়েছে শেষ পর্যন্ত? ছোট্ট একটি গ্রামে কাহিনির সূত্রপাত। ইতিহাস ও বর্তমান হাত ধরাধরি করে এগিয়ে গেছে সহস্রাব্দ প্রাচীন এক রহস্যময় পরিব্রাজকের সঙ্গী হয়ে। ইউরোপ, মিশর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ হয়ে সুদূর তিব্বতে বিস্তৃত এর প্লট। অবশেষে রহস্যময় অভিযাত্রীদের সাথে যোগ হয় বর্তমানকালের এক যুবকের ছুটে চলা, যার পেছনে ধাওয়া করছে তার বন্ধুর হত্যাকারী শয়তান- উপাসকের দল। প্রাচীন সেই পথিক কি দেখা পেয়েছে সাম্ভালার? জানতে হলে পড়ুন শরীফুল হাসানের এক অনবদ্য থ্রিলার উপন্যাস "সাম্ভালা"। সাম্ভালা: দ্বিতীয় যাত্রা সাম্ভালার খোঁজে ড. কারসন চলে এসেছেন দিল্লিতে, তার সাথে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে ড. আরেফিন এবং দুই ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক। দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করেছে দলটা, ম্যাকলডগঞ্জ হয়ে নেপাল পাড়ি দিয়ে যাত্রা করেছে তিব্বতের উদ্দেশ্যে। তাদের পিছু নিয়েছে এক অ্যান্টিক শিকারী। সাম্ভালার আসল ম্যাপ নিয়ে আব্দুল মজিদ ব্যাপারী ওরফে লখানিয়া সিংও চলেছে তিব্বতের উদ্দেশ্যে। তার চিরশত্রু অমরত্বের আরেক দাবিদার মিচনারও চলেছ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। অন্যদিকে রাশেদ জড়িয়ে পড়েছে আরেক অ্যাডভেঞ্চারে। বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য পর্তুগীজ জলদস্যু তিবাওয়ের গুপ্তধন উদ্ধারে নেমেছে। সাথে আছে পর্তুগীজ জলদস্যুর বংশধর লরেন্স। পাহাড়ের ত্রাস সঞ্জয় সিংও আছে পেছনে। সাম্ভালার খোঁজ কি পাওয়া যাবে? কী হবে তিবাওয়ের বিশাল গুপ্তধনের? জানতে হলে পড়ুন "সাম্ভালা: দ্বিতীয় যাত্রা"। সাম্ভালা: শেষ যাত্রা সাম্ভালার খোঁজে ড. কারসন দলবল নিয়ে চলে এসেছেন তিব্বতে, তার সত্যিকার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কেউ জানে না। ওদিকে অপহৃত হলেন ড. আরেফিন, সুদূর ঢাকা থেকে রাশেদ তার বন্ধুকে নিয়ে ড. আরেফিনকে উদ্ধার করতে চলে এলো তিব্বতে কিন্তু তাদের পেছনে লাগল একদল লোক। লাখানিয়া সিং ওরফে মজিদ ব্যাপারীও আছেন সাম্ভালার পথে, সঙ্গী যজ্ঞেশ্বর আর বিনোদ চোপড়া, তাদের দুজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ আলাদা, মিচনারও পিছিয়ে নেই, প্রতিপক্ষ লখানিয়া সিং থেকে সে কেবল এক পা দূরে। অন্যদিকে পিশাচ সাধক আকবর আলী মৃধা আছে পেছনে, তার উদ্দেশ্য একটাই, প্রতিশোধ। দুই চিরশত্রু কি মুখোমুখি হবে একে অপরের? অবশেষে সাম্ভালার সন্ধান কি তারা করতে পেরেছিল-_যেতে পেরেছিল কেউ ওখানে? এরকম আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে সাম্ভালা ট্রিলজির শেষপর্ব "সাম্ভালা: শেষ যাত্রা"য়।
শরীফুল হাসানের জন্ম ময়মনসিংহ শহরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। থৃলার সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ থেকে লেখালেখির জগতে পদার্পন। অনুবাদ দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তিতে লিখেছেন সাম্ভালা টৃলোজি (সাম্ভালা, সাম্ভালা দ্বিতীয় যাত্রা, সাম্ভালা শেষ যাত্রা), ঋভু, আঁধারের যাত্রী এবং কালি ও কলম ২০১৬ শিশু ও কিশোর সাহিত্যে পুরষ্কারপ্রাপ্ত অদ্ভূতুড়ে বইঘর। এছাড়া বেশ কিছু গল্পসঙ্কলনে প্রকাশিত হয়েছে তার একাধিক ছোটগল্প। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন।