ঘটনার শুরু প্যারিসে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে সস্ত্রীক খুন হন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে পুরোপুরি জনসম্মুখে! শুধু তা-ই নয়, ঘটনাস্থলে খুনি হত্যা করে নিজের প্রেমিকাকেও। বেপরোয়া এ লোক লড়াই করছে নিজ দেশের জন্য, অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। ছদ্মবেশে ঘুরে-বেড়াচ্ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। তার শেষ ও একমাত্র উদ্দেশ্য- ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা। ছদ্মবেশী খুনিকে পাকড়াও করতে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দেয় অবসরপ্রাপ্ত কিংবদন্তি গোয়েন্দা আরি শ্যামরনকে। কিন্তু তার একার পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয়। সাহায্যের জন্য ছুটতে হলো গ্যাব্রিয়েলের কাছে, যে বর্তমানে লুকিয়ে আছে পোর্ট নাভাসে। গ্যাব্রিয়েল একজন আর্ট রিস্টোরার। ছোটোবেলা বাবা-মাকে হারায় সে। যুবক বয়সে চোখের সামনে মরতে দেখেছে স্ত্রী ও পুত্রকে। পুরোনো ক্ষত ভুলতে সে চলে যায় পুরোপুরি আত্মগোপনে। কিন্তু অতীত কখনও লুকিয়ে থাকে না। শ্যামরনের অনুরোধে গ্যাব্রিয়েলকে ফিরে আসতে হয় তার মূল পেশা গোয়েন্দাগিরিতে। দুজনের সাক্ষাতে বেরিয়ে এলো অতীতের গায়ে কাঁটা দেওয়া সব তথ্য। ছদ্মবেশী সেই খুনির সাথে রয়েছে তাদেরই বিশেষ সম্পর্ক! উঠে আসে আরবদের সাথে ইহুদিদের দ্বন্দ্ব, পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক চাল। ষড়যন্ত্র আর রাজনীতির খেলায় জড়িয়ে আছে পুরো বিশ্ব। সেখানে একজন খুনি এবং দুজন গোয়েন্দা গুটিমাত্র।